দেখা নেই রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণের! ছাত্রভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছল হাইকোর্ট

Published on:

Published on:

calcutta high court(12)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু বছর হয়ে গেছে নির্বাচন হয়নি রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদে। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে। তবে আদালত সূত্রে খবর, এদিন এজলাসে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকায় শুনানি হয়নি।

পরবর্তী শুনানি নিয়ে কড়া হাইকোর্ট | Calcutta High Court

রাজ্যের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৭ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সে দিন সব পক্ষকে আদালতে প্রস্তুত হয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে। কেন এতদিন নির্বাচন হয়নি তা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করে আদালত। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই বলে নির্বাচন করানো সম্ভব হয়নি। যদিও পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চ সাফ বলে, “অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তো উপাচার্য রয়েছেন। সেখানে নির্বাচন হয়নি কেন?’’

কল্যাণ বলেছিলেন,” রাজ্যের কাজ শুধু এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা।” পাল্টা রাজ্যকে ডিভিশন বেঞ্চের সাফ মন্তব্য ছিল, ‘‘বিজ্ঞপ্তি জারি করুন। বাকিটা আমি দেখব।’ দু’সপ্তাহের মধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়ে রাজ্যের জবাব তলব করে হাইকোর্ট। এদিন সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই রাজ্যেই আইনজীবী অনুপস্থিত ছিলেন।

calcutta high court(11)

আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই বদলে যাবে আবহাওয়া! ৬ অগাস্ট পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর

উল্লেখ্য, ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা মামলাটি করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে এই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়ে জানিয়েছিল যত দিন না ভোট হচ্ছে অর্থাৎ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে মামলা বিচারাধীন থাকবে। পাশাপাশি গোটা রাজ্যে কোন অবৈধ ছাত্র ইউনিয়ন অফিস খোলা থাকবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন বিচারপতি। যতদিন না পর্যন্ত কলেজগুলিতে ছাত্র ভোট হচ্ছে ততদিন গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।