বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন হয়নি রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদে। তবে নির্বাচন না হলেও কলেজে কলেজে ইউনিয়ন রুম এখনও রয়েছে। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই কেন হয়নি তা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করে আদালত।
ছাত্র সংসদ ভোট নিয়ে কড়াকড়ি কোর্টের | Calcutta High Court
আদালতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তো উপাচার্য রয়েছেন। সেখানে নির্বাচন হয়নি কেন?’’ আইনজীবী কথায়, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সুপারিশের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া অস্থায়ী উপাচার্যদের ভোট করানো যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অস্থায়ী উপাচার্যরা নীতি নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বলে জানান আইনজীবী।
কল্যাণের কথায়, অস্থায়ী উপাচার্যেরা দেখাশোনার কাজ করতে পারেন মাত্র। তাদের দিয়ে কী করে ভোট করানো সম্ভব? আইনজীবী আরও জানান ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা রাজ্যের কাজ মাত্র। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, রাজ্য আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করুক, বাকিটা আদালতই দেখে নেবে। ডিভিশন বেঞ্চের সাফ মন্তব্য, ‘‘বিজ্ঞপ্তি জারি করুন। বাকিটা আমি দেখব।’
দু’সপ্তাহের মধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়ে রাজ্যের জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এদিন বিচারপতি সেন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, ‘‘সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনীতিমুক্ত হওয়া উচিত।” স্কুল এবং কলেজের পরিচালন সমিতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিবর্তে শিক্ষাবিদের রাখার কথাও বলেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই মমতা বনাম শুভেন্দু! শর্তসাপেক্ষে অনুমতি, তবে প্রশাসনের নজর দুদিকেই
এর আগে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়ে জানিয়েছিল যত দিন না ভোট হচ্ছে অর্থাৎ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে মামলা বিচারাধীন থাকবে। পাশাপাশি গোটা রাজ্যে কোন অবৈধ ছাত্র ইউনিয়ন অফিস খোলা থাকবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন বিচারপতি। যতদিন না পর্যন্ত কলেজগুলিতে ছাত্র ভোট হচ্ছে ততদিন গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের।