বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) প্রায় একবছর হতে চললো জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে রাজ্য ছাড়িয়ে তাঁর ঠিকানা হয়েছে হয়েছে দিল্লির তিহাড়। আজ ৩২৩ দিনে পড়ল জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যে কোনও শর্তে তাঁর মক্কেককে জামিন দেওয়া হোক, আদালতে এই এই আবেদন জানান অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তবে এদিনও মিললো না সায়। ফের একবার কেষ্টর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল আদালত।
প্রসঙ্গত, আজ নেটওয়ার্ক জনিত কিছু সমস্যা থাকায় ভার্চুয়াল শুনানি হয়নি। তবে আদালতে কেষ্টর জামিনের সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে এদিনও প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করে অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এদিন আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী জানান, প্রায় একবছর হতে চললো তাঁর মক্কেল জেলবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে তবে কবে থেকে ট্রায়াল শুরু হবে সেই বিষয়ে কোনও খবর নেই। এই বলে অনুব্রতর জামিনের আর্জি জানানো হয়। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানায় অনুব্রত প্রভাবশালী তাই এই সময় জামিন পেলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। ‘আর কতদিন তদন্ত চলবে’ বিচারকের এই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, শীঘ্রই ফাইনাল চার্জশিট দেওয়া হবে। সব শুনে অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই।
অন্যদিকে, কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনের (Saigal Hossain) আরও প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে আসানসোলের সিবিআই আদালতে নথি পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সংস্থার দাবি, পূর্বে চার্জশিটে উল্লেখিত সম্পত্তি ছাড়াও এই বিপুল পরিমান সম্পত্তির হদিস মিলেছে।
সিবিআই জানিয়েছে, সহগলের কাছ থেকে তারা আরও আটটি জমির হদিস পেয়েছে, সবমিলিয়ে যার বাজারদর কম করে ৬০ লক্ষ টাকা। সেই সব জমি গুলি রয়েছে সহগলের মা লতিফা খাতুন এবং স্ত্রী সমৈয়া খন্দকারের নামে। তাদের নামে কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ মিলেছে যেগুলি মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা গচ্ছিত আছে বলে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার।
কলকাতা হাই কোর্টে সহগলের জামিনের শুনানির আগেই সিবিআইয়ের এই নতুন অভিযোগে আরও বিপদ বাড়লো কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষীর, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলে। সবমিলিয়ে শুক্রে দাদা-ভাইয়ের অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়লো, সেকথা বলাই যেতে পারে।