বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নারদা কাণ্ডে প্রথম গেফতার হল আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। গ্রেফতারির পর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে যায় সিবিআই। পরপর সাতবার জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নারদা কর্তা ম্যাথ্যু স্যামুয়েলের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছিল যে, আইপিএস অফিসার মির্জা টাকা নিচ্ছে। কিন্তু তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন, আর কাকে দিয়েছিলেন, সেটা নিয়ে এখনো খোলাসা করেননি তিনি। আজ সকালে আইপিএস মির্জাকে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। আর সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওনাকে গ্রেফতার করা হয়।
সারদা কাণ্ডে শুধু আইপিএস মির্জাকেই না, তৃণমূলের অনেক প্রভাবশালী নেতা নেত্রীদের টাকা নিতে দেখা যায়। এদের মধ্যে দুজন এখন আবার বিজেপিতে আছেন। প্রাক্তন তৃণমূলের নেতা মুকুল রায়, শঙ্কুদেব পাণ্ডা এদেরও ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা যায়। এছাড়াও তৃণমূল নেতা মদন মিত্র, পার্থ চ্যাটার্জী এবং আরও অনেক নেতা, নেত্রীদের টাকা নিতে দেখা যায় ম্যাথ্যু স্যামুয়েলের ওই স্টিং ভিডিওতে।
তৃণমূল নেতাদের এই ভিডিও প্রকাশ্যের আসার পর তৃণমূল নেত্রী এবং গোটা তৃণমূল দল এই ঘটনাকে অস্বীকার করে বিজেপির চক্রান্ত বলে আখ্যা দিয়েছিল। তৃণমূলের অনেকের বলেছিল এটি একটি সাজানো ঘটনা এবং ক্যামেরার কারসাজি করে এসব করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এই মামলা চলছিল। অবশেষে পাঁচ বছর পর এই মামলায় প্রথম গ্রেফতারি হল।
নারদা স্টিং অপারেশনে তৎকালীন বর্ধমানের পুলিশ সুপার আইপিএস মির্জাকেও টাকা নিতে দেখা যায়। এমনকি উনি একজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নাম নিয়ে বলেছিলেন যে, আমি টাকা নিয়ে ওনাকে মন্ত্রী বানিয়েছি। তবে নারদার থেকে নেওয়া টাকা উনি কাকে দিয়েছেন, সেই নিয়ে মুখ খোলেননি। বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া যায়, আর এরপরই ওনাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মির্জাকে সিবিআই এর হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রাজীব কুমারের পর আরেকজন আইপিএস অফিসার এরকম দুর্নীতিতে সরাসরি নাম জড়িয়ে ফেললেন। শাসক ঘনিষ্ঠ বলেই কি আইপিএস-রা এরকম দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে পড়ছেন?