বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) তদন্ত শেষ হল। এমনটাই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল গতকাল। হঠাৎ করেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রচার করতে থাকে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে ইতি টেনে দিয়েছে সিবিআই। বলা হয়, সুশান্তের মৃত্যুতে কোনো রকম ষড়যন্ত্র বা সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পায়নি সিবিআই। খুব শীঘ্রই তদন্তের রিপোর্ট পাটনার সিবিআই দফতরে জমা করা হবে বলে শোনা যায়।
কিন্তু আজ প্রকাশ্যে আসে আসল খবর। সংবাদ সংস্থা ANI এর তরফে জানানো হয় সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত এখনো চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, মিডিয়ায় তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে যে খবর ছড়াচ্ছে তা ভুয়ো। তদন্ত এখনো চালু রয়েছে।
Central Bureau of Investigation (CBI) continues to investigate the death of #SushantSinghRajput. There are certain speculative reports in media that the CBI has reached a conclusion. It may be reiterated that these reports are speculative and erroneous: CBI pic.twitter.com/Nmr3Kb4B58
— ANI (@ANI) October 15, 2020
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে বলা হয়, গত ৮ অক্টোবর সুশান্তের জামাইবাবু, দিদি নীতু ও ফরিদাবাদের পুলিস কমিশনার ওপি সিং কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারপরেই তাঁরা তদন্তে ইতি টানে। অপরদিকে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর বক্তব্য, সুশান্ত মামলায় AIIMS যে রিপোর্ট পেশ করেছে তার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে কোনো খবর নেই।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর প্রশ্ন, AIIMS কি সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুনরায় তৈরি করেছে নাকি কুপার হাসপাতালের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ীই রিপোর্ট পেশ করেছে। প্রমাণ কিছু নষ্ট হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে কি তদন্ত করেছে AIIMS? স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কি মামলাটাকে মন্ত্রকের মেডিকেল বোর্ডে পাঠাবে? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা।
প্রসঙ্গত, এর আগেই সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং তীব্র বিরোধিতা করেছেন AIIMS এর রিপোর্টের। এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তের বাবা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পরে সুধীর গুপ্তা নিজেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আইনজীবীর কথায়, “উনি আমাকে ফোন করে বললেন, আমি কোনো রকম সাহায্য আগ্রহী নই, আমি শুধু সত্যিটা জানতে চাই। তখন আমি তাঁকে সুশান্তের দিদি মীতুর তোলা সেদিনকার কিছু ছবি দেখাই।”
তিনি আরো বলেন, “ছবি দেখাতেই উনি সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে। এরপর আমরা এই বিষয়ে কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলি। এখন আমার আফশোস হচ্ছে কেন আমি সেদিন কথোপকথন রেকর্ড করলাম না। আমি সাধারণত এমনটা করি না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে করা উচিত ছিল। তবে আমি নিশ্চিত আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলে ওই চিকিৎসকের মিথ্যা ঠিক ধরা পড়বে।”