বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট দ্বারা তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পর থেকে ক্রমশ তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বর্তমানে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দ্বারা সিবিআইয়ের তদন্তকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়ার মাঝেই যেন আরো গতি পেয়েছে তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধীরে ধীরে তদন্তের জাল ক্রমশ গুটিয়ে আনতে শুরু করেছে সিবিআই আর সেই উদ্দেশ্যেই এদিন সকাল নটার সময় আচমকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদে পৌঁছে যায় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে সিবিআই দপ্তরে ডাকা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, অতীতে শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য প্রধানত দায়িত্বে থাকতো স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ হতো। কিন্তু বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি প্যানেল তৈরি করে সেটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে পাঠায় এবং তাদের দ্বারাই শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের নজর যে পর্ষদের দিকে রয়েছে, তা বলা বাহুল্য। সেই কারণেই এদিন সকালে সেখানে পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের মোট 6 জন অফিসার।
সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি ছাড়াও এডমিন পারমিতা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এছাড়া অন্যান্য একাধিক কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাদের।
তবে শুধু মধ্যশিক্ষা পর্ষদই নয়, এরপরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা পৌঁছে যান ডিরোজিও ভবনে। সেখানে কম্পিউটার, hard disc সহ অন্যান্য একাধিক নথি খতিয়ে দেখে তারা। এক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিএ জাল ঠিক কত দূর বিস্তৃত রয়েছে, সে বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অবগত হওয়ার জন্যই গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযান বলে মত বিশেষজ্ঞদের।