চার সপ্তাহের ডেডলাইন, মহুয়ার অস্বস্তি বাড়িয়ে চার্জশিট জমা দেওয়ার সবুজ সংকেত পেল CBI

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরও বিপাকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত মিলল লোকপালের তরফে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই সিবিআইকে চার্জশিট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট আদালতে। সেই সঙ্গে চার্জশিটের একটি প্রতিলিপিও লোকপাল আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআইকে।

মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ সিবিআইকে

সূত্রের খবর, লোকপাল নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৩ সালের লোকপাল আইনের ধারা ২০(৭) এবং ধারা ২৩(১) অনুযায়ী, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করতে হবে সিবিআইকে। তবে সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দেওয়ার পরেই যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে এর কোনও নিশ্চয়তা নেই।

CBI got green signal to file chargesheet against mahua moitra

কী নির্দেশ দিয়েছেন লোকপাল: লোকপাল নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, সিবিআই চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই দ্বিতীয় আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তার আগে কোনও আইনি প্রক্রিয়া হবে না। উল্লেখ্য, গত বছর লোকপালের নির্দেশ অনুযায়ী, মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ছয় মাসের মধ্যে তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট সিবিআইয়ের জমা দেওয়ার কথা ছিল।

আরও পড়ুন : রবি থেকেই উঠে যাচ্ছে বুকিং কাউন্টার, তার আগে শনিবার ফের মেট্রো বিভ্রাট, তুঙ্গে যাত্রী ভোগান্তি

অনুমতি পেল সিবিআই: ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সাংসদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করা এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য লোকপালের কাছে অনুমতি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতেই এবার মিলল অনুমতি। সম্প্রতি লোকপাল বেঞ্চের শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।

আরও পড়ুন : গত বছরের তুলনায় রেকর্ড আয়, পর্যটক টানতে ছাব্বিশেই সিংহ সাফারির ভাবনা শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে

মহুয়া অভিযোগ করেছিলেন, মামলার সংবেদনশীল তথ্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই লোকপাল শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করার আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মহুয়া। তবে মামলার এমন একটি পর্যায়ে আসার পর এতে কোনও রকম স্থগিতাদেশ জারি করা যাবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট।