বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং কয়লা পাচারের পাশাপাশি গরু পাচার মামলায় সরগরম হয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের পর থেকে এই মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে চলেছে। এ মামলায় গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে সম্পত্তি সংক্রান্ত একাধিক ইস্যুতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। পরবর্তীতে তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও ব্যবসায়ীদের নামে অসংখ্য বেনামি সম্পত্তির হদিশ মেলে। বোলপুরে জমির পাশাপাশি একাধিক কোম্পানির খোঁজ পায় তদন্তকারী অফিসাররা। সেই সূত্রেই উঠে আসে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নাম। একজন স্কুল শিক্ষিকা হয়ে কেষ্টকন্যার কাছে কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গেলো, সেই প্রসঙ্গে একের পর এক প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, সুকন্যার নামে অসংখ্য কোম্পানি এবং রাইস মিলের সঙ্গে গরু পাচার মামলার যোগসূত্র রয়েছে বলেই অনুমান সিবিআইয়ের। সেই সূত্রে কয়েকদিন পূর্বে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছে গেলেও এক প্রকার খালি হাতেই ফিরতে হয় তদন্তকারী অফিসারদের। তবে গতকাল নোটিশ সঙ্গে নিয়েই অনুব্রত কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছে যায় সিবিআই।
এক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষিকা হওয়া সত্ত্বেও ৫ কোটি টাকার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ক্রয় করা অর্থের উৎস কি? সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করার পাশাপাশি জেরায় রাইস মিল এবং ব্যাঙ্ক একাউন্টে থাকা অর্থ সহ অন্যান্য একাধিক বিষয় উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকালের প্রশ্ন এবং তার উত্তর খতিয়ে দেখার পর স্থির করা হবে যে, পরবর্তী ক্ষেত্রে অনুব্রত কন্যাকে ফের তলব করা হতে পারে কিনা?
এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “আমরা এমন একটি রাজ্যে বসবাস করছি, যেখানে সারাদিন ধরে সরকারের দুর্নীতি এবং চুরি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়ে থাকে।” অপরদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “”মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় যে সকল মানুষ নেতা হয়েছে, তারা সবই দুর্নীতিগ্রস্ত। মুখ্যমন্ত্রী এদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন।”
যদিও বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল শিবিরের জবাব, “সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করুক। কেউ দোষ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। কিন্তু এগুলিকে যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয়।”