সায়গল হোসেনের ‘স্পেশাল টিম ১৪’-র খোঁজে CBI, নজরে ১৫০ কোটির বেআইনি সম্পত্তি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনি পাচার কাণ্ডে অস্বস্তি ক্রমশ বেড়ে চলেছে অনুব্রত মণ্ডল সহ তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। অতীতে একাধিকবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এর মাঝেই কয়েকদিন পূর্বে সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরবর্তীতে, সেই হেফাজত আরো বাড়ানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি আর এবার সিবিআইয়ের নজরে তার ‘স্পেশাল টিম 14’ এবং বেআইনি সম্পত্তি।

সিবিআই দ্বারা সম্প্রতি আদালতে পেশ করা নথি অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাছে বর্তমানে পঞ্চাশটি বাড়ির দলিল রয়েছে। রাজারহাট, সল্টলেক, মুর্শিদাবাদ এবং লেকটাউনের মতো জায়গায় তার সম্পত্তি থাকার পাশাপাশি পাঁচটি crasher মেশিন, দশটি ডাম্পার এবং এছাড়া দু’কোটি টাকা রয়েছে। মুর্শিদাবাদেই সায়গলের মোট 60টি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। সব মিলিয়ে সকল সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় 150 কোটি। ফলে একজন দেহরক্ষীর কাছে এত টাকা কি করে এলো, তা যথেষ্ট সন্দেহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর পাশাপাশি বর্তমানে সায়গলের ‘স্পেশাল টিম 14’-এর খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের কাছে 14 জনের একটি দল কাজ করতো। ফলে স্বভাবতই তাদের সকলের দিকে নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। এরমধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ ইতিমধ্যে করে ফেলেছে তারা এবং তাদের সূত্র ধরেই বর্তমানে মুর্শিদাবাদে 60টি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।

saygal anu

সূত্রের খবর, 14 জনের এই স্পেশাল টিমে বিভিন্ন পেশার মানুষজন জড়িত রয়েছে এবং তাদেরকে সামনে রেখেই যে সায়গল হোসেন তোলাবাজির কাজ চালাতো, সে বিষয়ে বর্তমানে সন্দেহ করে চলেছে সিবিআই। ওই স্পেশাল টিমে দুবরাজপুর এলাকার দুজন, হাটনাবাজারের এক ব্যক্তি, ইসলামপুর এবং রানীনগর থেকেও আরো দুজনের জড়িত থাকার খবর মিলেছে। যদিও বর্তমানে বহু ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি, তবে তাদের সকলের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চালিয়ে চলেছে গোয়েন্দা সংস্থা। এক্ষেত্রে সায়গল হোসেনের এই স্পেশাল টিমের খোঁজ মিললে একাধিক নতুন তথ্য সামনে আসতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর