সুপ্রিম কোর্টে মানিকের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট দিল CBI, কালঘাম ছুটল তৃণমূল বিধায়কের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট পেশ করল তদন্তকারী সংস্থা। রিপোর্টে সিবিআই এর দাবি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূলচক্রি এই মানিকই।

সিবিআই সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে বাকিদের বয়ানের সাথে মানিক ভট্টাচার্যের বয়ানের কোনো মিল নেই। মানিকের দৌলতে সমস্ত দুর্নীতির পাশাপাশি তার নির্দেশেই নিয়োগের নথিতে সই করেছেন সংসদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। আদালতে সংস্থা জানিয়েছে, জেরায় রত্না স্বীকার করেছেন কিছু কিছু সময়ে চাপের মুখে তাকে বিভিন্ন কাগজে সই করতে হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার সিবিআই রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছে, টেট পাশই করেনি এমন অন্তত ৩৬ জন এমন প্রার্থীকে অনিয়ম করে নিয়োগ করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, আদালতে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে মানিকের মেয়াদ ২ বার বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পরপর ২০১৬ ও ২০১৮ সালে তার পদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কেন এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলে সিবিআই।

সিবিআই এর দাবি, জেলাভিত্তিক আলাদা আলাদা রেট চার্ট করে অর্থের বিনিময়ে বেআইনিভাবে ২০১৬ ও ২০১৭-র টেটে বিপুল নিয়োগ হয়েছিল। এই সবের মূল মাথা ছিলেন মানিকই। এদিন বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে সিবিআই।

supreme court

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যের পাশাপাশি স্ত্রী ও পুত্র সহ তার গোটা পরিবার বর্তমানে জেলবন্দি। এরই মধ্যে সিবিআই এর পেশ করা রিপোর্ট যে আরও কিছুটা অস্বস্তি বাড়াল বিধায়কের, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর