বাংলাহান্ট ডেস্ক : জোকা IIM কলেজ (Joka IIM) হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। কসবা ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার আগেই জোকা IIM (Joka IIM) এর ছাত্রাবাসে বহিরাগত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় পড়ে যায় সর্বত্র। নামজাদা ওই কলেজেরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তরুণী। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নামতেই তৈরি হচ্ছে একের পর এক জট। বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলায় পুলিশি তদন্তেও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
জোকা কাণ্ডে (Joka IIM) নির্যাতিতার বয়ান নিয়ে ধন্দ
নির্যাতিতা তরুণীর বাবার বয়ানে আগেই উঠে গিয়েছিল বেশ কিছু প্রশ্ন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেছিলেন, ধর্ষণের (Joka IIM) মতো কোনও ঘটনাই নাকি ঘটেনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে। আগের দিন রাতে তিনি ফোন পেয়েছিলেন যে তাঁর মেয়ে অটো থেকে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এমনকি তাঁর মেয়েও নাকি তাঁকে জানিয়েছে যে এমন কিছুই ঘটেনি। পাশাপাশি নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী সিসিটিভি ফুটেজও না মেলায় ধন্দে পড়েছে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে: জানা যাচ্ছে, জোকা IIM (Joka IIM) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। কলেজ ক্যাম্পাসের প্রতিটি ক্যামেরা সহ ঘটনার দিনের রেজিস্ট্রার খাতাও তন্নতন্ন করে দেখা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার দিন যে নিরাপত্তারক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন সিট এর তদন্তকারী আধিকারিকরা (Joka IIM)। তবে সূত্রের খবর, তদন্ত করতে গিয়ে নাকি বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : ‘শাস্ত্র বিধি লঙ্ঘন, রথের রশিতে পা’, দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা পুড়তেই বিস্ফোরক শুভেন্দু
বয়ানে মিলেছে অসঙ্গতি: জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ এবং সময়ের কোনও মিল নেই। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা তরুণীর বয়ানের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজের (Joka IIM) চূড়ান্ত অসঙ্গতি মিলেছে। তাতেই আরও দানা বেঁধেছে সন্দেহ। জানা যাচ্ছে, তরুণী নিজের বয়ানে বলেছিলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল তাঁর উপরে। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুপুর ৩ টে নাগাদই একটি ক্যাব নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান ওই তরুণী।
আরও পড়ুন : TRP টপারের আসন টলমল, ৩ বছর পর জি-এর মেগায় ফিরছেন জনপ্রিয় নায়িকা? গুঞ্জন ছড়াতেই ফাটল বোমা!
শুধু তাই নয়, কলেজে আসার সময়ও একটি ক্যাবে একসঙ্গে এসেছিলেন তরুণী এবং অভিযুক্ত যুবক। তাও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। ফলত তরুণীর বয়ানের সত্যতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এছাড়াও ওই যুবকের কেন কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন পড়ল, তরুণীর ‘মনোবিদ’ ডিগ্রি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। তিনি আদৌ কোনও হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেন কিনা কিংবা তাঁর কোনও চেম্বার আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছে হরিদেবপুর থানা।