বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় মুম্বই পুলিসের (mumbai police) সঙ্গে বিহার পুলিসও নেমে পড়েছে তদন্তের কাজে। বিহার পুলিস তদন্ত শুরু করতেই একের পর এক নতুন নতুন বিষয় সামনে আসতে শুরু করেছে। এরপরেই মুম্বই পুলিসের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে সকলের মনে।
এবার ফের এক নতুন তথ্যের উপর থেকে পর্দা উঠে গিয়েছে যাতে সন্দেহ গিয়ে পড়েছে মুম্বই পুলিসের উপর। তদন্তের শুরু থেকেই মুম্বই পুলিস বলে এসেছে সুশান্তের মৃত্যুর আগের দিন অ্যাপার্টমেন্টের সিসিটিভি বন্ধ ছিল। এবার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি কোম্পানির মালিক দাবি করেছেন যে ঘটনার আগের দিন কোনও সিসিটিভি খারাপ ছিল না। মুম্বই পুলিস কিছু লোকানোর চেষ্টা করছে এই মামলায়, এমন অভিযোগও উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে ওই সিসিটিভি ফুটেজ কি মুম্বই পুলিসের জিম্মায় রয়েছে নাকি দিশা সালিয়ানের ফাইলের মতোই তা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে এছাড়াও সুশান্ত মামলায় আরও কিছু রহস্য এখনও রয়ে গিয়েছে। অভিনেতার দেহ ফাঁস থেকে নীচে কে নামাল সেই নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। সুশান্তের পরিচারক জানান, তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থই নীচে নামান সুশান্তের দেহ। অপরদিকে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাবি তিনি নামিয়েছেন সুশান্তের দেহ।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিহার সরকার। সম্প্রতি এই মামলায় তদন্তের জন্য মুম্বই পৌঁছান পাটনা পুলিসের এসপি বিনয় তিওয়ারি। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তদন্ত করা তো দূর, উপরন্তু বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশন জোর করে তাঁকে কোয়ারেন্টাইন করে বলে অভিযোগ। আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে কোয়ারেন্টাইনেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিএমসি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মুম্বই পুলিসের উদ্দেশে তোপ দাগেন বিহার ডিজিপি জি পান্ডে। তাঁর কথায়, “একজন আইপিএস অফিসারকে জোর করে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের যদি নিজের পুলিসের প্রতি এতই গর্ব থাকে তাহলে আমাদের জানানো হোক গত ৫০ দিন ধরে সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় কি কি তদন্ত হয়েছে। মুম্বই পুলিস আমাদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এর স্পষ্ট মানে কোথাও একটা গড়বড় আছে।”