বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে চর্চার শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)। কেলেঙ্কারির অভিযোগে বর্তমানে জেলের কুঠুরিতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। গতকাল কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই (ED-CBI)।
কুন্তলের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলের সিসিটিভি (CCTV) খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিবিআইয়ের তরফে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিলের মধ্যে জেলবন্দি কুন্তলের গতিবিধির ফুটেজ আদালত থেকে সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে সভায় অভিষেক অভিযোগ তোলেন, যে সারদা মামলায় এক সময়ে জেল হেফাজতে থাকা মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে চাপ তার নাম নিতে চাপ দিয়েছিল ইডি ও সিবিআই। ঘটনাচক্রে এর পরেই গত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল কুন্তল আলিপুর আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে চিঠি পাঠিয়ে কুন্তল জানান, অভিষেকের নাম বলার জন্য তার উপরেও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এরপরই এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত।
শনিবার সিল করা খামে কুন্তলের অভিযোগ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সিবিআই জানিয়েছে, কোনওভাবেই কুন্তলকে শারীরিক বা মানসিকভাবে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। গতকাল বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই জানায়, কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকী জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র পাননি তারা।
তবে সেই সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের পেশ করা রিপোর্টে প্রেসিডেন্সি জেলে কুন্তলের সেলের সামনে দুই সন্দেহভাজনের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। এই দুজন সন্দেহভাজনদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।
কুন্তল জেলে যাওয়ার পর থেকে ঘটনার দিন পর্যন্ত সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তলব করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। তবে জেল থেকে মাত্র কয়েকদিনের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ সিবিআই। অন্যদিকে, এদিন আদালতে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি ধৃত শাসকদলের দুই বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রোমোটার তথা প্রযোজক অয়ন শীলের মোট ১৫ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।