বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তখন নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে শোরগোলের সবে শুরু। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, তার আগেও মন্ত্রী পদে থাকাকালীনই আরও এক তৃণমূল বিধায়কের নাম জড়িয়েছিল শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে। তিনি প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে সহ শিক্ষিকা পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠলে আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতার। সেই চাকরি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে চাকরি গেলেও বিপদ কাটলো না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বেঁধে দেওয়া ডেডলাইনের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Bengal Recruitment Case) তদন্ত শেষ করে কলকাতা হাই কোর্টে তদন্তের রিপোর্ট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। গত ৯ নভেম্বর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য সিবিআইকে সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
একই সাথে তদন্তে শেষ হলে তার রিপোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ বেঞ্চে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা করে সিবিআই। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষে রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সঙ্গে তুলনা! ব্রিগেডের পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে মীনাক্ষীর নাম, বললেন…
সিবিআই এর রিপোর্টে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম ফের একবার অভিযুক্তর তালিকায় দেখানো হয়েছে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, কাদের দ্বারা নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, সরাসরি কারা যুক্ত ছিলেন, সেই সমস্ত তথ্যই চার্জশিটে পেশ করা হয়েছে। সেই চার্জশিটেই নাম রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর।
কি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে? রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়ায় ষড়যন্ত্র, অপরাধে সঙ্গী হওয়া, প্রতারণার মতো একাধিক অভিযোগ এনেছে সিবিআই। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১০৯, ২০১, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ এই রকম একাধিক ধারায় পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরেশ অধিকারী ছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৎকালীন ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যর নামও অভিযুক্ত হিসেবে পেশ করেছে সিবিআই। চার্জশিটে সব মামলাতেই নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে শিক্ষা দফতরের আরও কর্তা এবং ব্যক্তিদের নামও জুড়েছে সেই তালিকায়। নাম রয়েছে আমলারও।