বাংলা হান্ট ডেস্ক : মণিপুর হাঙ্গামার মধ্যেই সংসদে এক গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। জানা যাচ্ছে, সাধারণ নাগরিকদের সুবিধার্থে এবার এক বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র। এবার থেকে স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে ভোট প্রদান, চাকরি বা পেনশনের আবেদন থেকে আইটি ফাইল- একটি শংসাপত্র দিলেই হবে সমস্ত কাজ! চলুন দেখে নিই কীভাবে?
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের আনা সেই বিলটি পাশ হয়ে গেলেই বয়সের প্রমাণপত্র থেকে নাগরিকত্বের পরিচয়- সব কিছুর জন্যই একটি নথি, কেবল বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) প্রযোজ্য হবে। গত বুধবারই বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) বিল ২০২৩’ লোকসভায় পেশ করেছেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, এই বিলে মূলত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে কার্যকর হওয়ার ৫৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সংশোধন করা হতে পারে এই বিল। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের চাকরিতে নিয়োগ, ভোটার তালিকা তৈরি, বিয়ের রেজিস্ট্রি -সব ক্ষেত্রে একক নথি হিসাবে বার্থ সার্টিফিকেটকে মান্যতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। সরকার তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই বিল পেশ করা হয়েছে। এই বিলকে আইনে কার্যকর করা হলে সার্বিক ভাবে ডেটাবেসও সমৃদ্ধ করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সংসদে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করার পর নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯-কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা সংশোধন করা হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবাকে আরও নাগরিক বান্ধব করে তুলতে সংশোধন প্রয়োজন। তাই এই বিল আনা হয়েছে।’ যদিও এই বিলের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। তার কথায়, এতে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হবে।