বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলার ট্যাবলো বাতিল নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক রাজনীতি করছে রাজ্য। নাম না করে এবার এহেন ভাষাতেই জবাব দিল কেন্দ্র। এই ট্যাবলো বাতিলের পিছনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ বা কোনো রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার মনোভাব কোনোটাই নেই বলেও দাবি করা হয়েছে সেই বক্তব্যে।
এবছর দিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রায় নিজেদের ট্যাবলো দেখানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু দিল্লি থেকে বাতিল হয় সেই ট্যাবলো। পশ্চিমবঙ্গের এবছরের ট্যাবলোর বিষয়বস্তু ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনের আবেদন বাতিল হওয়ার পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একটি চিঠিতে কেন্দ্রকে তিনি লেখেন, ‘বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়ার এই সিদ্ধান্তে আমি হতবাক এবং ব্যথিত। এই ট্যাবলো বাদ দেওয়ার মাধ্যমে ইতিহাস এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অস্বীকার করা হচ্ছে’। মমতার এই কড়া অভিযোগকে কার্যতই এবার উড়িয়ে দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে নাম না করেই সাফ জানানো হয়েছে এবছরের শোভাযাত্রায় তিনটি রাজ্যের ট্যাবলো বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলা ছাড়াও রয়েছে তামিলনাড়ু এবং কেরল। ট্যাবলো বাতিলের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কোনোরকম হস্তক্ষেপই নেই। রাজ্যগুলি ট্যাবলোর মডেল জমা দেওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে দেখেন একটি বিশেষ দল। সেই দলে থাকেন স্থাপত্য, সঙ্গীত, ভাস্কর্য, সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরাই সবচেয়ে ভালো মডেল গুলিকে প্রদর্শনের ছাড়পত্র দেন। এবছর মোট জমা পড়া ৫৬টি ট্যাবলো মডেলের মধ্যে ৩৫টিকেই বাতিল করা হয়েছে বলেও কেন্দ্র সুত্রে খবর।
ইতিহাস এবং সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি অবমাননার অভিযোগকেও উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের শীর্ষ মহল।ভারত সরকারের সংস্থা সিপিডব্লিউডি এর ট্যাবলোর এবারের বিষয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘ট্যাবলো বাতিলের মত সাধারণ ঘটনাকে যাঁরা বঞ্চনা এবং কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ বলে দেখতে চাইছেন তাঁদের কোনো ইতিবাচক কর্মসূচি নেই। তাই তাঁরা সবকিছুতেই অহেতুক রাজনীতি খুঁজতে চাইছেন’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরও দিল্লির কুচকাওয়াজে নিজের ট্যাবলো প্রদর্শন করেছিল বাংলা। ২০২১ সালের এই ট্যাবলোতে বাংলার থিম ছিল ‘বিদ্যালয়’।