Ekchokho.com 🇮🇳

ভোটের আগে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! গ্রাহকদের জন্য চমক

Published on:

Central Government decision on Post Office Scheme interest rate

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন এদেশের বহু মানুষ (Post Office Scheme)। ফলে স্বভাবতই সেই প্রকল্পগুলির সুদের হারে (Interest Rate) কী বদল আসছে না আসছে সেদিকে নজর থাকে তাঁদের। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসের মধ্যে তিনবার রেপো রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India)। সেটা দেখে অনেকেই ভাবছিলেন, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের (Interest Rate) হারও কমানো হতে পারে। অবশেষে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের হার প্রকাশ্যে এল।

ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার বাড়ল না কমল?- (Post Office Scheme)

২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হারে শেষবারের মতো বদল করা হয়েছিল। এরপর থেকে সুদের হার একই রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হল না। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন অবধি বিনিয়োগকারীরা যে হারে সুদ পেয়েছেন, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর অবধিও সেই হারে পাবেন।

বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার নিয়ে কোনও প্রকার ঝুঁকি নিল কেন্দ্র। এবারও সেটি অপরিবর্তিত রাখা হল। রেপো রেটে কাটছাঁট হলেও সুদের হার এক রাখাকে অনেকেই বড় চমক বলে মনে করছেন। এখন প্রশ্ন হল, কোন প্রকল্পে কত শতাংশ হারে সুদ মিলবে।

আরও পড়ুনঃ প্রেমের চক্করে জীবন নিয়ে টানাটানি! হঠাৎ নদীতে বান! যুগলের সঙ্গে যা হল… ভাইরাল রুদ্ধশ্বাস ভিডিও

রিপোর্ট বলছে, সেভিংস ডিপোজিটে ৪%, রেকারিং ডিপোজিটে ৬.৭%, ন্যাশানাল সেভিংস সার্টিফিকেটে ৭.৭%, কিষাণ বিকাশ পত্রে (১১৫ মাস) ৭.৫%, মান্থলি ইনকাম অ্যাকাউন্ট স্কিমে ৭.৪% এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ৮.২% হারে সুদ মিলবে।

Post Office Scheme

এছাড়া পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৭.১%, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ৮.২% হারে সুদ পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ১ বছরের টার্ম ডিপোজিটে ৬.৯%, ২ বছরের টার্ম ডিপোজিটে ৭%, ৩ বছরের টার্ম ডিপোজিটে ৭.১% এবং ৫ বছরের টার্ম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ৭.৫% হারে সুদ মিলবে।

এই নিয়ে একটানা ৬টি ত্রৈমাসিকে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হারে কোনও বদল আনা হল না। ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে (Post Office Scheme) মূলত এই স্কিমগুলি চালু রয়েছে। সুদের হার না কমিয়ে এক রাখার ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বহু বিনিয়োগকারী। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।