বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় সম্প্রতি বড় রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা। সুপ্রিম নির্দেশ অনুযায়ী তোরজোড়ও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা (Government Employees) ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ (DA), ডিআর কবে পাবেন? গত ২৩ এপ্রিল ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ দ্য জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ফের একবার এই ইস্যু উত্থাপিত হয়েছে বলে খবর।
করোনার সময় ১৮ মাসের ডিএ (Dearness Allowance) দেয়নি সরকার
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সাধারণত বছরে দু’বার করে ডিএ বাড়ানো হয়। তবে করোনার সময় প্রায় দেড় বছর তথা তিন দফা মহার্ঘ ভাতা দেয়নি সরকার। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন অবধি ডিএ পাননি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। অতীতে বহুবার এই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ দ্য জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে কর্মীদের তরফে ফের একবার এই দাবি তোলা হয়।
সরকারের তরফ থেকে বারবার দাবি, অতিমারী ও সেইসময় প্রবর্তিত নানান আর্থিক কল্যাণ প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট আর্থিক বোঝা বকেয়া ডিএ (DA Arrear) মেটানো কার্যত অসম্ভব করে তুলেছে। সরকার পক্ষের দাবি, অর্থনীতির ওপর করোনার প্রভাব ২০২০-২১ অর্থবর্ষের পরেও পড়েছে। যা পরবর্তী বছরগুলির বাজেট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুনঃ দফতরে না গিয়েও হাজিরা খাতায় সই! কেষ্টকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দেওয়া ডাক্তারের একাধিক ‘কীর্তি’ ফাঁস
২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের আগেও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Central Government Employees) তরফ থেকে ১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবি তোলা হয়েছিল। ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ দ্য জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দেন। তবে কাজের কাজ হয়নি। গত এপ্রিলে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ফের একবার এই দাবি তোলা হল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ফের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) দিচ্ছে মোদী সরকার। বর্তমানে ৫৫% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই ফের একবার তিন কিস্তির বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। সরকার পক্ষ এই দাবি শোনে দেয় কিনা সেটাই দেখার।