বাংলা হান্ট ডেস্ক : কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত পশ্চিমবঙ্গের বহু পুরনো ঐতিহ্য। মমতা-মোদির আমলে তা আরও ভয়ংকর আকার নিয়েছে। বকেয়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর চলছে এখনও। দিল্লিতে (Delhi) যখন তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্রযুবর ধরনায় যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), ঠিক তখনই ফের নয়া বরাদ্দ ঘোষণা করল কেন্দ্র। রাজ্য পেল ৯৯৬ কোটি টাকা।
৫ মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার : ব্যবধান মাস পাঁচেকের। কেন্দ্রের কাছ থেকে ফের বড় অঙ্কের অনুদান পেল রাজ্য। গ্রামীণ প্রকল্পে ৩ রাজ্যকে টাকা দিল পঞ্চদশ ফিনান্স কমিশন। এই টাকা গ্রামের রাস্তা, পানীয় জলের জন্য খরচ করা যাবে। শুধু তাই নয়, বছরে বরাদ্দের ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারলেই ফের টাকা দেওয়া হবে। এর আগে, কর বাবদ রাজ্যগুলির যে টাকা প্রাপ্য, সেই টাকার মার্চ মাসের বরাদ্দ মিটিয়ে দিয়েছিল মোদি সরকার। বাংলা পেয়েছিল ১০ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা।
এই টাকা রাজ্যের প্রাপ্য : গ্রামীণ প্রকল্পের এই বরাদ্দকে অবশ্য ‘বিশেষ কোনও নজরে’ দেখছে না রাজ্য সরকার। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতে, ‘এই টাকা রাজ্যের প্রাপ্য। কেন্দ্রকে দিতেই হবে। অন্য যে প্রকল্পের যে টাকা আটকে রেখেছে, সেই টাকা কেন্দ্র অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে’।
কী বলছে রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মানুষ বুঝতে পারছে, কোথাও কোনও বঞ্চনা নেই, কোথাও কোনও বিমাতৃসুলভ আচরণ নেই। কোথাও কোনও কেন্দ্র-রাজ্য় সংঘাতের মাঝে কেন্দ্র আগ বাড়িয়ে হুমকি নেই। যা আছে, সেটা শুধু প্রচার, বিবৃতি আর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা’। সঙ্গে কটাক্ষ, ‘৬১৩ কোটি টাকায় চন্দ্রযান এখান থেকে চাঁদে চলে গেল! এই টাকা নবান্ন থেকে আপনার দোরগোড়ায় পৌঁছতে যে কী হবে! নবগ্রামে গিয়ে কত টাকা পৌঁছবে, সে তো মানুষ জানে’।
কী বললেন জয়প্রকাশ? তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, ‘কেন্দ্রের কাছে বকেয়া আছে, বারবার মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন। ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে ৯৯৬ কোটি কত টাকা দিয়ে, বড় বড় কথা বলছে! এটা হচ্ছে গরম তাওয়াতে জলের ছিঁটে দেওয়া। সঙ্গে সঙ্গে ছিড়ছিড় করে সেই জল উড়ে চলে যায়। পশ্চিমবঙ্গে যত টাকা পাওয়া, সেই সব টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের’। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘এখানকার বিজেপি নেতা, ৯৯৬ কোটি টাকা দিয়েছে বলে ঢাক বাজাতে যেন না যান। বরং তাঁদের জবাব দিতে হবে ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা কেন বকেয়া পড়ে আছে