কমছে চালের পরিমাণ, আগামী বছর থেকেই বড়সড় রদবদল, রেশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের অনুরোধ রাখল না কেন্দ্র। ২০২৬ থেকেই জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় পড়া রেশন (Ration) গ্রাহকদের বরাদ্দে আসছে বেশ কিছু পরিবর্তন। আগের মতো রেশনে বরাদ্দ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে নাকচ করা হয় অনুরোধ।

বর্তমানে কত করে রেশন (Ration) মেলে

জাতীয় প্রকল্পের এসপিএইচ এবং এসপিপিএইচ শ্রেণীর গ্রাহকদের বর্তমানে মাসিক ৫ কেজি করে খাদ্য শস্য দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২ কেজি গম এবং ৩ কেজি চাল দেওয়া হয়। অন্যদিকে অন্ত্যোদয় গ্রাহকরা পরিবার পিছু পায় মাসিক ৩৫ কেজি করে। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ২০ কেজি এবং গম ১৫ কেজি।

Central Government is decreasing rice amount in ration

রেশনের বরাদ্দে বড় পরিবর্তন: আগামী বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রের খাদ্য মন্ত্রক রেশনে চাল কমিয়ে গম বৃদ্ধি করছে। প্রাপ্য ৫ কেজির মধ্যে ৩ কেজি থাকবে গম এবং বাকি ২ কেজি চাল। অন্যদিকে অন্ত্যোদয় গ্রাহকরা পরিবার পিছু পাবে ২০ কেজি গম এবং ১৫ কেজি চাল। গ্রাহকের সংখ্যা অনুযায়ী রাজ্যকে এই ভিত্তিতেই খাদ্য শস্য দেবে কেন্দ্র। গ্রাহককে কী পরিমাণে খাদ্য শস্য (Ration) দেওয়া হবে সেটা রাজ্যই ঠিক করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রের সরকারের বরাদ্দকৃত পরিমাণের থেকে কম দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন : সচিন-ধোনি-বিরাট সহ ভারতের ৭ ধনী ক্রিকেটারের চেয়েও বেশি আয় মেসির! চমকে দেবে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ

রেশনের বরাদ্দ ঠিক করবে রাজ্য : রাজ্য সরকার এখন মাথাপিছু ৩ কেজি করে চাল দিতে পারে। তবে গমের পরিমাণ কমানো যাবে না। তা ৩ কেজি করেই দিতে হবে। সেন্ট্রাল এবং স্টেট পুলের জন্য আলাদা ভাবে চাল মজুত করে রাখে রাজ্য। সেন্ট্রাল পুলের চাল থেকে জাতীয় প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন (Ration) গ্রাহকদের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বিভিন্ন স্কুলের মিড ডে মিলের জন্য চাল সরবরাহ করা হয়।

আরও পড়ুন : রাত পোহালেই ৭ কোটি ভোটারের ভাগ্যপরীক্ষা, খসড়া তালিকা প্রকাশ নিয়ে এল বড় আপডেট

২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে চাষিদের থেকে মোট ৬৭ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য। সেন্ট্রাল পুলের জন্য এর মধ্যে থেকে কেনা হবে ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার টন ধান। এবার কেন্দ্র যদি চালের বরাদ্দ কমিয়ে দেয় তবে সেন্ট্রাল পুলে চাল কম লাগবে। এতে রাজ্যের চাষিদেরই ক্ষতি। রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজ্য পরিকল্পনা মাফিক চাষিদের থেকে ধান কিনুক। অতিরিক্ত চাল বাইরের রাজ্যে সরবরাহের জন্য এফসিআইকে দেওয়া হোক।