বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিগত দেড় বছর পর কৃষকদের স্বার্থে রাস্তায় নেমে কেন্দ্র সরকারের প্রস্তাবিত কৃষি বিলের প্রতিবাদ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী নবজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। না কোন নেতার বিপক্ষে গিয়ে, না কোন বিরোধীদের কটাক্ষ করে, তাঁর জীবনের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অভিনব ভঙ্গিতে প্রতিবাদে নেমেছেন।
নবজ্যোত সিং সিধুর প্রতিবাদ
রাজনৈতিক কৌশল ছেড়ে দিয়ে সমস্যার সমাধানের উপর এবার তিনি জোর দিয়েছেন। এই নতুন ভাবধারায় সিধু গত সোমবার এবং মঙ্গলবার তাঁর বাসভবনে সমর্থকদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে স্থির হয়েছিল, প্রতিবাদকালে কোনও কর্মী কংগ্রেসের পতাক নিয়ে আসবেন না। কৃষকদের ছবি হোর্ডিংয়ে লাগানো হবে, তাদের হয়েই প্ল্যাকার্ড লেখা হবে এবং সিধুর ছবি থাকতে পারে।
সোমবার হয় নতুন বৈঠক
সরকার প্রস্তাবিত নতুন কৃষি বিলের প্রতিবাদে গতকাল অর্থাৎ সোমবার সংগুরুর মনেওয়াল গ্রামে আয়োজিত কিষাণ সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, বেসরকারী সংস্থাগুলিও তাদের কর্মচারীদের বেতন বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু কৃষকদের ফসলের এমএসপি মাত্র ১৫ গুণ বেড়েছে। কৃষকদের সাহায্য করার বদলে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের শ্বাসরোধের চেষ্টা করে কষ্ট দিচ্ছে।
বিগত ৪০ বছরে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা দেশকে খাদ্য শষ্যের যোগান দিত। কিন্তু এদিকে সরকার কম অর্থ এবং কম এমএসপিতে কৃষকদের ফসল কিনত। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে নিজের প্রাপ্য অধিকারটুকুও কেন্দ্র সরকারের থেকে ভিক্ষা করে নিতে হচ্ছে।
কৃষক স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান
এখানেই থামলেন না তিনি। আরও বললেন, সরকার কৃষকদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলতে চাইছে। বর্তমানে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে কৃষক স্বার্থে একজোট হয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাঞ্জাবের ১২ হাজার গ্রাম একত্রিত হলে, কেন্দ্র সরকার কেঁপে উঠবে। তাই সকলকে এক জোট হতে হবে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানী সেনা জেনারেলের সঙ্গে নবজ্যোত সিং সিধুর হাত মেলানোয় উঠেছিল নানারকম বিতর্ক। পাশাপাশি তাকে মন্ত্রী সভা থেকে বিতাড়িত করায় উঠেছিল নানা বিতর্ক। এমনকি তিনি পাকিস্তানে গিয়ে একটি সভা মঞ্চেও বক্তৃতা রেখেছিলেন। তবে দেড় বছর পর আবারও এক নতুন রূপে কৃষকদের সমর্থনে মাঠে নামলেন।