কেন্দ্রের এই কার্ডেই ‘খেলা হবে’! মাস গেলে পেয়ে যাবেন ৩ হাজার, আপনি আবেদন করবেন কীভাবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) পক্ষ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হবে এক বিশেষ প্রকল্পে। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা ভাবনা করে প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে থাকেন। এটিও সেরকমই। এই স্কিম (Scheme) অনুযায়ী মানুষ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। কিভাবে করবেন আবেদন? কারা পাবেন সুবিধা ? জানুন এই প্রতিবেদনে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের জন্য এক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম হল কিষাণ মানধন যোজনা (PM Mandhan Yojana 2024)। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের বার্ধক্যকালীন সুরক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের কারণেই এই স্কিম চালু করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। মূলত ৬০ বছর বয়সে কিংবা তার বেশি বয়সি কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যেক মাসে ৩০০ টাকা করে পেনশন পাবেন কৃষকরা। কোন কৃষকের যদি মৃত্যু হয় তবে সেই কৃষকের স্ত্রী এই যোজনার টাকা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ করে টাকা পাবেন।

আরোও পড়ুন : Jio’র মতোই জলের দামে মিলবে ওষুধ! এবার ১৫০ কোটির নতুন ব্যবসায় নামছেন আম্বানি

 কিষাণ মানধন যোজনা স্কিমে যদি আবেদন করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম আঠারো বছর বয়স থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য কৃষকদের প্রথমে একটি পেনশন তহবিলে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। সেখানে ২৯ বছর বয়সে ১০০ টাকা করে প্রত্যেক কৃষক সেখানে জমা দেবেন। এই টাকা জীবন বীমা কর্পোরেশনের দ্বারা পরিচালিত হওয়া একটি পেনশন স্কিমের তহবিলে জমা করতে থাকবে কেন্দ্রীয় সরকার।

আরোও পড়ুন : সাথেই রাখুন ছাতা! গরমের মধ্যেও একটু পরই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলায়, বর্ষা নিয়েও বড় আপডেট

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন যোজনায় ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন কৃষক  নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য প্রথমে কমন সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে কৃষকদের। তালিকাভুক্ত এবং পূর্ব শর্ত গুলির মধ্যে একটি আধার কার্ড এবং আইএফএসসি কোড সহ সেভিংস ব্যাংক একাউন্টে নম্বর প্রদান করতে হবে। যিনি আবেদন করবেন তাঁর আধার কার্ড, তাঁর গ্রাহকের নাম এবং জন্ম তারিখ ভালো করে যাচাই করে নেওয়া হবে।

These 7 rules are changing from April 1.

প্রথমে গ্রাম পর্যায়ের অফিস থেকে অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করবেন গ্রাহকরা। এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস মোবাইল নম্বর থেকে শুরু করে ইমেল আইডি দিতে হবে। গ্রাহকের বয়সের উপর ভিত্তি করে মাসিক কত টাকা দেওয়া হবে সেই পরিমাণ গণনা করা হবে। গ্রাম পর্যায়ের অফিস থেকে গ্রাহকদের প্রথম নগদে সাবস্ক্রিপশন এর টাকা দেওয়া হবে। তারপর গ্রাহকের নাম সহ অটো ডেবিট মেন্ডেড ফ্রম প্রিন্ট আউট করে নেবেন গ্রাহকরা।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর