বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সড়ক যোজনা সহ অন্যান্য একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কয়েক হাজার কোটি টাকা পাওনা পড়ে থাকলেও মেটাচ্ছে না সরকার; অতীতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আনে তৃণমূল শিবির। সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে এ সকল বিষয়ে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের মোট ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাওনা পড়ে রয়েছে। একইসঙ্গে গ্রাম সড়ক যোজনায় রাজ্যের বকেয়া টাকার পরিমান ২ হাজার কোটি টাকার অধিক। তবে এবার তৃণমূল সরকারের সকল অভিযোগ এক প্রকার উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তাদের দাবি, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সড়ক যোজনায় রাজ্যের হাতে পড়ে রয়েছে যথাক্রমে ১৪০০ কোটি এবং ২৭৮ কোটি টাকারও বেশি অর্থ।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে কেন্দ্রের কাছ থেকে তাদের বকেয়া টাকার পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং গ্রাম সড়ক যোজনায় যথাক্রমে ৯৩২৯ কোটি এবং ২১০৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতীতে যেখানে ‘প্রধানমন্ত্রী’ নামের বদলে প্রকল্পগুলিতে ‘বাংলা” নামটি ব্যবহার করা হয়ে চলেছিল,বসেখানে পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের সকল নির্দেশিকা মেনে নেওয়ার ব্যাপারেও মত প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এবার তৃণমূলের সকল দাবি উড়িয়ে দিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, “যেকোনো প্রকল্পে প্রতিটির রাজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ম এক। এক্ষেত্রে সমস্ত টাকা একসঙ্গে দেওয়া হয় না। কত টাকা দেওয়া হবে, সেটি নির্ভর করে রাজ্যের কয়েকটি বিষয়ের উপর। এক্ষেত্রে রাজ্যের দেওয়া কাজের প্রস্তাবের পাশাপাশি কাজের অগ্রগতি ও কতটা কাজ বাকি, এ সকল বিষয়গুলি নির্ভর করে। এছাড়াও রাজ্যের কার্যক্ষমতা এবং পড়ে থাকা অর্থের পরিমাণের উপর নির্ভর করে তাদেরকে অর্থ দেওয়া হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সম্পূর্ণ টাকা কখনোই একসঙ্গে ছাড়া হয় না।”
বর্তমানে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি পরিসংখ্যান দিয়ে জানানো হয়, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাবদ বাংলাকে মোট ৩৪.৮২ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্য প্রদান করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ বাড়ির কাছাকাছি লক্ষ্যমাত্রা বাকি রয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কাছে পড়ে থাকা অর্থের পরিমাণ ১৪২৯ কোটি।” এদিন এ পরিসংখ্যানের পর অবশ্য সরকারের তরফ থেকে কোন রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।