বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি স্কুলছুট (Drop Out) নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রক। যাতে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) স্কুলগুলিতে প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক পর্যন্ত স্কুলছুটের সংখ্যা শূন্য। যার মানে দাঁড়াচ্ছে ওই শিক্ষাবর্ষে বাংলার স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও পড়ুয়া মাঝপথে পড়াশোনা ছাড়েনি।
বাংলায় (West Bengal) স্কুলছুট মাধ্যমিক স্তরে
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের পড়ুয়াদের কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার হাজার হাজার পড়ুয়া। তালিকায়, মিড-ডে মিল, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, ঐক্যশ্রী সহ আরও একাধিক ব্যবস্থা। কেন্দ্রের এই রিপোর্টে স্বস্তি এলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুটের হার।
নবম থেকে দশম শ্রেণীতে এক লাফে রাজ্যের (West Bengal) ড্রপ আউটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশের বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই স্কুলছুটের হার বাংলার তুলনায় কম রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, গত বছরে নবম-দশম শ্রেণির স্কুলছুটের হার ১৭.৮৫ শতাংশ। অর্থাৎ এই এত শতাংশ পড়ুয়া মাঝপথে স্কুল ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: সফর করলেও জানেন না ৯৯ শতাংশ যাত্রী! এই রুটেই চলে দেশের সবথেকে দ্রুত গতির রাজধানী এক্সপ্রেস
মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বিহারে। শতাংশের হিসেবে ২৫.৬৩। এর পরেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে অসম ২৫.০৭ ও কর্নাটক ২২.০৯। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ছাত্রশূন্য স্কুলের পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাংলা। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে ৩২৫৪টি স্কুল রয়েছে যেখানে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হয়নি। পাশাপাশি গত শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে এক জন শিক্ষক থাকা স্কুলের সংখ্যা বাংলায় রয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬টি। ছাত্রশূন্য স্কুলের পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় রাজস্থান এবং তৃতীয় তেলঙ্গানা।