বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে চাণক্যের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর সময়কাল থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর নীতি ও পরামর্শ মানুষকে জীবনে চলার পথে অনেক সাহায্য করেছে। তাঁর লেখা ‘চাণক্য নীতি’ ও ‘অর্থশাস্ত্র’ বইদুটি সমকালীন সমাজেও একই রকম তাৎপর্যপূর্ণ।
চাণক্য নীতির দশম অধ্যায়ের দ্বিতীয় শ্লোকে চার ধরণের সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। চাণক্যের মতে এই চার সাবধানতা অবলম্বন করে চললে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারে মানুষ। এই উপায়গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন কতটা বাস্তবিক চাণক্যের নীতি।
প্রথম উপায় হল পানীয় জল সবসময় পরিস্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে পান করা। এতে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে। দ্বিতীয় উপায় হল, হাঁটার সময় সজাগ থাকা। যেখানে পা ফেলছেন সেখানে আগে দেখে তারপর পা ফেলা। এতে চোট লাগার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।
চাণক্য নীতি অনুযায়ী, যেকোনও বিষয়ে কথা বলার আগে ভাল করে ভেবেচিন্তে তারপর বলা উচিত। এতে অবাঞ্ছিত ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা কম থাকে। পরে অনুশোচনাও করতে হয় না।
কথায় বলে, ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না। চাণক্য নীতিও তাই বলে। ভাল করে ভেবেচিন্তে তারপরই কাজ করা উচিত। যে ব্যক্তি এই পন্থা মেনে চলেন তিনি জীবনে অনেক উন্নতি করেন।