বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমাদের সমাজে যার যত বেশি টাকা রয়েছে তিনিই ততই সম্মান পান, দরিদ্র বা তুলনামূলক ভাবে কম অর্থ সম্পন্ন ব্যক্তিদের অসম্মান করা হয়।বিশেষ করে বর্তমানে যেভাবে মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করা হয় না তাতে মানুষ মানুষের ওপর আস্থা হারাচ্ছে, তাই তো চাণক্য নীতি অনুযায়ী নয় ধরনের ব্যক্তিকে অসম্মান করা কখনোই উচিত নয় তাহলে জীবনে ঘোরতর বিপদ নেমে আসে।
মা- যাঁরা পৃথিবীর আলো দেখায় তাঁদের কখনওই অসম্মান করা উচিত নয়।
পিতা- একজন পিতা যিনি তাঁর সন্তানের কথা ভেবে নিজের কষ্টকে কষ্ট মনে করেন না তাঁকে কখনোই অসম্মান করা উচিত নয় বরং তাঁর ত্যাগ স্বীকার খেয়ে সব সময় সম্মান জানানো উচিত।
যিনি মূল্যবোধ সেখান- আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছে যারা আমাদের জীবনে নানা সময় ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে মূল্যবোধ শিখিয়ে দেন তাঁরা আমাদের বন্ধু হতে পারেন অথবা আত্মীয় পরিচিত হতে পারেন তাঁদের অসম্মান করা উচিত নয়।
শিক্ষক- প্রতিটি মানুষের জীবনে শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য ও। তাঁদের ধ্যান ধারণা বুদ্ধি বিচক্ষণতা এবং শিক্ষাদান এগুলির কখনই অসম্মান করা উচিত নয়।
যে ব্যক্তি খাবার দেন- যাঁরা কিছু সময় হলেও খাবার দান করেন বা খাবার খাওয়ান তাদের কখনোই অসম্মান করা উচিত নয়।
বিপদে সাহায্য করা ব্যক্তি- যে ব্যক্তি আপনার বিপদে আপদে আপনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল তাকে কখনোই অব গাওয়া ও সম্মান করা উচিত নয়।
গুরু- যদিও আজকের দিনে এই কথাটি অনেকের কাছে অপরিচিত কারণ তত্কালীন সমাজে গুরুকুলে ছোটবেলা কাটত ছেলে মেয়েদের যদিও আজকের দিনে সে সব অতীত কিন্তু আজও সকলের জীবনে একজন করে গুরু থাকেন আর সেই সব গুরুর মতাদর্শ মেনে চলা উচিত এবং তাঁদের সম্মান করা উচিত।
শ্বশুর শাশুড়ি- প্রতিটি ছেলে বা মেয়ে সকলের নিজের বাবা মায়ের মতো শ্বশুর শাশুড়িকে সম্মান জানানো উচিত। তাঁদের অসম্মান করলে আদতে নিজেদেরই ক্ষতি হয়।
মায়ের মতোচানক্য, কোনও ব্যক্তি- এমন অনেকেই থাকেন যিনি মায়ের মতো স্নেহ করে ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেন এবং বিপদে আপদে পাশে থাকেন সেই ব্যক্তিদের কখনোই অবজ্ঞা করা উচিত নয়।