বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে চাণক্য (chanakya) একজন মহান তথা বিচক্ষণ পুরুষ। একাধারে তিনি ছিলেন রাজপরামর্শদাতা, শিক্ষক, দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ। তাঁর সময়কাল থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর পরামর্শ ও নীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর সাহায্য করেছে। চাণক্যের লেখা ‘চাণক্য নীতি’ ও ‘অর্থশাস্ত্র’ বইদুটি সমকালীন সমাজ ও অর্থনীতিতেও একই রকম তাৎপর্যপূর্ণ।
চাণক্য তাঁর চাণক্য নীতিতে বেশ কয়েকটি উপদেশ লিখে গিয়েছেন। চাণক্যের মতে, কোনও কিছুই কালের জন্য ছেড়ে রাখা উচিত নয়। এর জন্য পরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। চাণক্য নীতিতে মানুষকে অলসতা ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই কারণেই এখনও পর্যন্ত চাণক্যকে সবাই মেনে চলেন।
চাণক্যের মতে ৬টি বিষয় মানুষের মনোবল ভেঙে দেয়। জেনে নিন সেই বিষয়গুলি কি কি-
এমন কোনও স্থানে বাস করা উচিত নয় যেখানকার মানুষের মনোভাব ঠিক নয়। কুসঙ্গে পড়লে তার প্রভাব নিজের ওপর ও পরিবারের ওপরেও পড়ে। মানুষ যতই পরোপকারী ও সৎ হোন না কেন কুসঙ্গে পড়লে তার ক্ষতিই হয় ও একসময় মনোবল ভেঙে যায়।
চাণক্যের মতে যারা নীচ কাজ করেন তাদের সেবা করা অধর্ম। এরা অত্যন্ত রাগী স্বভাবের হন এবং কথাবার্তাও কঠোর হয়। এদের সঙ্গদোষে মানুষ অসৎ হয়ে ওঠে। তাই এদের সংস্পর্শে থাকলে নিজের ও পরিবারের ক্ষতি হয়।
এমন খাবার খাওয়া উচিত নয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের স্বাস্থ্য খারাপ হলে সমস্যা সর্বক্ষণ তাকে ঘিরে থাকে। চিকিৎসকদের মতে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। করোনা ভাইরাসের মতো মহামারিকে প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই জরুরি।
চাণক্য বলেন যদি স্ত্রী খুব কঠোর হন ও অপরকে দুঃখ দেওয়ার মতো কথা বলেন তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক। যে বাড়িতে সারাক্ষণ ঝগড়া, বিবাদ হয় সেই বাড়িতে দেবতার বাস থাকতে পারে না। সবসময় বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
মূর্খ সন্তান চিরকাল মা বাবার দুঃখ দুর্দশার কারণ হয়। চাণক্যের মতে যে সন্তানের পড়াশোনায় মন নেই ও সবসময় অসৎ কাজ করে সেই সন্তান দুর্ভাগ্যের প্রতীক।
চাণক্যের মতে কোনও মানুষের পক্ষে সবচেয়ে কষ্টদায়ক নিজের মেয়েকে বিধবা অবস্থায় দেখা। এই পরিস্থিতিতে সে ভেতরে ভেতরেই জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়।