বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো হোক, কিংবা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন- পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। করোনা আবহে তাঁকে দেখা গিয়েছিল বাইকে করে মানুষের কাছে যেতে, আর এবার ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে, মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পায়ে হেঁটেই পৌঁছে গেলেন দুর্যোগ কবলিত স্থানে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি ব্লক সমষ্টি আধিকারিক উন্নয়নের সঙ্গেও দেখা করেন চন্দনা বাউড়ি। এরপর তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের অবস্থা দেখে খুবই কষ্ট হল। সেই কারণে মাননীয় BDO দের কাছে অনুরোধ করলাম, এই পরিস্থিতিতে যাতে সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাসন ব্যবস্থা বন্টন ও করোনা টিকাকরণের প্রক্রিয়া জারী রাখা হয়’।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার শালতোড়া (saltora) আসনটি এবছর তপশিলি জাতীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। আর সেই আসন থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন চন্দনা বাউড়ি। দারিদ্র সীমার নীচে বাস করা চন্দনার বাড়িতে একটিও আসবাব পত্র পর্যন্ত নেই। কোনোরকম ভাবে ঝুপরিতে মাথা গুঁজে জীবনযাপন করেন তাঁরা। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শালতোড়া কেন্দ্রে বিজেপির জয় এনে দেন সেই চন্দনা বাউড়ি।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বহুবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে সর্বাধিক দরিদ্র প্রার্থী চন্দনার নাম। প্রথম থেকেই যেভাবে তিনি প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন, তা নজরকাড়ার মত ছিল। অবশেষে দেখা যায়, যে মেয়েটি পান্তা খেয়ে দিন-রাত পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করেছিলেন, তাকেই পছন্দ করেছে শালতোড়ার মানুষ। বিধায়ক হয়েই প্রথমে শালতোড়ার রাস্তা-ঘাট তৈরির কাজে মনোনিবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন চন্দনা বাউড়ি। সেইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মানুষের পাশে থাকার।