বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) মেয়র নির্বাচনের আগে রবিবার রাজনীতি আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠল। কংগ্রেসের (congress) রাজ্য ইনচার্জ হরিশ চৌধুরী দলের রাজ্য সহ-সভাপতি দেবেন্দ্র সিং বাবলাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাবলা তার কাউন্সিলর স্ত্রী হরপ্রীত কৌর বাবলা-কে নিয়ে বিজেপি (bharatiya janata party) অফিসে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। এই যোগদান সভায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল সহ সাংসদ কিরণ খের এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় ট্যান্ডনও উপস্থিত ছিলেন।
বলে দিই, চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে আম আদমি পার্টি ১৪টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন। সাংসদ সহ বিজেপির রয়েছে ১৩টি ভোট। এখন বাবলার স্ত্রী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিজেপি এবং আম আদমি পার্টির ১৪ জন করে কাউন্সিলর হল৷ এবার মেয়র পদে নির্বাচন খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। উল্লেখ্য, কর্পোরেশনে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ কাউন্সিলর হওয়ার পর দলত্যাগ করেও কাউন্সিলর পদ অব্যাহত থাকতে পারবেন।
শনিবার, পৌর কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণের পর ১৭ সেক্টরে অবস্থিত পৌর কর্পোরেশন অফিসে একটি হাই ভোল্টেজ ড্রামাও হয়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ভিজিটর গ্যালারিতে বসা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দেবেন্দ্র বাবলা এবং কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুভাষ চাওলা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
বাবলা অভিযোগ করেছিলেন যে চাওলার কারণেই চণ্ডীগড়ে কংগ্রেস ভেঙে পড়েছে। বিষয়টি এতটাই বেড়ে যায় যে সুভাষ চাওলাকে গালিও দেন বাবলা। সেই সময় অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে হট্টগোল চলে যার পর বাবলা ও চাওলাকে তাদের সমর্থকরা অন্য দিকে নিয়ে যায়। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ চাওলা বলেছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ সহ্য করা হবে না। কেউ কথা বলতে চাইলে দলীয় বৈঠকে বলতে পারে।
চাওলা বলেন, কারো বলাতে একটা পার্টি শেষ হয়ে যায় না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে চাওলা বলেন, বাবলার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা তিনি দেখবেন। বাবলার স্ত্রী এবার নির্বাচনে জিতে পুরসভায় পৌঁছেছেন। এই শপথগ্রহণ দেখতে পৌর কর্পোরেশন অফিসে পৌঁছেছিলেন বাবলা। গত কয়েকদিন ধরেই দুজনের মধ্যে বিবাদের খবর পাওয়া যাচ্ছিল, যা শনিবার প্রকাশ্যে চলে আসে।