বাংলাহান্ট ডেস্ক : চণ্ডীগড় শনিবার সেক্টর-১৬-এর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বের বৃহত্তম মানব পতাকা তৈরি করে ভারত ইতিহাস তৈরি করেছে। স্টেডিয়ামে, ৭৫০০ জন শিক্ষার্থী ভারতীয় পতাকা তেরঙ্গার রূপ নিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্বর্ণাক্ষরে দেশের নাম নথিভুক্ত করে বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করে ফেললো। এর আগে এই রেকর্ড ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নামে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের অধীনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবের গভর্নর এবং চণ্ডীগড়ের প্রশাসক বনোয়ারিলাল পুরোহিতও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের সবার জন্য গর্বের বিষয়।
শনিবার সকাল থেকেই চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিইউ) শিক্ষার্থীরা অন্যান্য স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের সাথে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জড়ো হতে শুরু করে। ছাত্রদের কেউ গেরুয়া, কেউ সাদা আবার কেউ সবুজ। কেউ কেউ হালকা বাদামী পোশাকও পরেছিলেন। মোট ৭৫০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী স্টেডিয়ামে পৌঁছে মানব পতাকার ছবি তৈরি করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর স্টেডিয়ামের ভেতরে কারুকাজ করতে করতে তেরঙার আকৃতি তৈরি হয়। গেরুয়া, সাদা ও সবুজ পোশাকে আসা শিক্ষার্থীরা পতাকা তৈরি করেন, তারপর বাদামি পোশাকে প্রথম শিক্ষার্থীরা পতাকার খুঁটি আকারে স্টেডিয়ামে অবস্থান নেন। এ দৃশ্য দেখতে স্টেডিয়ামে পৌঁছেছিলেন বিপুল সংখ্যক নগরবাসী। অনুষ্ঠান চলাকালীন, প্রশাসক বনোয়ারিলাল পুরোহিতের সাথে ছিলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি, সিইউর চ্যান্সেলর সতনাম সান্ধু, প্রশাসকের উপদেষ্টা ধরমপাল, ডিসি বিনয় প্রতাপ সিং, মেয়র সরবজিৎ কৌর।
১১:৩৫ টায় বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ঘোষণা :
সকাল ১১:৩০ টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখানোর চেষ্টা করা হয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিসিয়াল বিচারক স্বপ্নিল ডাংরিকারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার অনুমোদনের পর সকাল ১১:৩৫ মিনিটে মঞ্চ থেকে এ অর্জন ঘোষণা করা হয়।
জাতি গঠনে নিজেকে উৎসর্গ করার শপথ নিন: পুরোহিত
প্রশাসক বনোয়ারিলাল পুরোহিত বলেন, এই বিশ্ব রেকর্ড গোটা বিশ্বকে এক বিরাট বার্তা দিয়েছে। এই প্রোগ্রামটি কল্পনার চেয়েও বড়। এ জন্য তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অভিনন্দন জানান। এছাড়াও ১৫ই আগস্ট দেশ ও জাতি গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য সকল নাগরিককে আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, গোটা ভারতে এই ধরনের প্রথম ঘটনা।