বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই গৃহকোন্দলের আভাস তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। একদিকে যখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির অন্দরে মিলছে গৃহযুদ্ধের আভাস। এবার তো আরও বেশ খানিকটা স্পষ্ট হলো বিজেপি নেতা চন্দ্র কুমার বসুর একটি টুইটকে কেন্দ্র করে। একদিকে যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট-পরবর্তী অশান্তিকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জটিলতা। নিহত হয়েছেন একাধিক বিজেপি কর্মী। তখনই আজ এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা টুইট করেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে এখন আদৌ কোনো তফাৎ রয়েছে কি।”
তার এই এক লাইনের টুইট রীতিমতো জল্পনা সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এ কি শুধুই আত্মসমীক্ষা নাকি, এর মধ্যে রয়েছে অন্য কোন সমীকরণের আভাস তা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের ফের একবার ঘরে ফিরতে স্বাগত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছু নেতা-নেত্রী এই মুহূর্তে যোগাযোগ চালাচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চন্দ্র কুমার বসুর এই টুইট নিশ্চয়ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এরাজ্যে বিজেপির উত্থানের সময় থেকেই বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন বসু পরিবারের এই সদস্য। বর্ষিয়ান নেতা হিসেবে তেমনভাবে এর আগে তাকে দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। আর এই কারনেই তার সমীক্ষার গুরুত্ব আরো অনেকখানি বেশি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে আসা একের পর এক নেতাকে নিজেদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। নির্বাচনের ফলাফলে অবশ্য হারের মুখ দেখতে হয়েছে দলবদল অনেক হেভিওয়েটকেই। সেই সূত্র ধরেই কি এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ চন্দ্রকুমার বসুর মতো আদি বিজেপি নেতারা। প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।