চাঁদের সঙ্গে প্রথম দেখা! ছবি পাঠিয়ে তাক লাগিয়ে দিল চন্দ্রযান-৩

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর খুব বেশি দূরে নয় ডেস্টিনেশন চাঁদ। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে গত ৫ই আগস্ট। বর্তমানে চাঁদের কক্ষপথে এটির অবস্থান ১৭০ কিলোমিটার × ৪৩১৩ কিলোমিটার। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৯০০ কিমি বেগে ঘুরছে। এই চন্দ্রযান ৩ পাঠিয়েছে চাঁদের প্রথম ছবি।

সেই ছবিতে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটি সোনালী রঙের যন্ত্র। এই সোনালী যন্ত্রটি হল চন্দ্রযানের সোলার প্যানেল। এই ছবিতে চাঁদের গর্ত ও তার পৃষ্ঠদেশ বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার কক্ষপথে অগ্রগতি লাভ করবে ৯ আগস্ট দুপুর ২.৪৫ মিনিটে।

তখন এই চাঁদের ছবি আরো বড় ভাবে দেখতে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই, চাঁদের গা-ঘেঁষে থাকা অবস্থায় সেই ছবি পাঠিয়েছে ইসরোর মহাকাশযান। রবিবারে সেই ছবি টুইট (Tweet) করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।চন্দ্রযান ৩ চন্দ্রের ১০০০ কিলোমিটারের মধ্যে নেমে আসবে ১৪ই আগস্ট।

প্রপালশন মডিউল এবং ল্যান্ডার মডিউল আলাদা হয়ে যাবে ১৭ই আগস্ট। ডিওরবিটিং হবে ১৮ ই ও ১৯ শে আগস্ট। অর্থাৎ আরো কমে যাবে চাঁদের কক্ষপথের সাথে দূরত্ব। ১০০×৩৫ কিমি কক্ষপথে যাবে ল্যান্ডার মডিউলটি। এরপর চাঁদের মাটিতে চন্দ্রের অবতরণ হবে ২৩ তারিখ বিকাল ৫.৪৭ মিনিটে।

চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের জন্য চন্দ্রযান-৩-এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৩৬০০ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছিল। তবে কক্ষপথে প্রবেশের পর এর গতি দুই থেকে এক কিলোমিটার কমানো হয়। কারণ চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ৬ ভাগের এক ভাগ। তাই গতি বেশি থাকলে সেটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে অক্ষম হত।

 

অতীতের যে দেশ বা মহাকাশ সংস্থা সরাসরি চাঁদের দিকে অভিযান করেছে তাদের মধ্যে অনেক ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে। তিনটি মিশনের মধ্যে ব্যর্থ হয়েছে একটি মিশন। কিন্তু ইসরো যে পদ্ধতিতে চাঁদে চন্দ্রযান পাঠাচ্ছে তাতে অসফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার থেকে ইসরোর চন্দ্র ভ্রমণ অনেকটাই সময় সাপেক্ষ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর