বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য সম্প্রতি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার প্রস্তাব দেয় কমিশন। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। একইসঙ্গে গতকাল ক্যাবিনেটকে উক্ত মামলায় পার্টি করার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) দলের নির্বাচনী প্রতীক প্রত্যাহার করা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি, যা কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী তথা অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।
তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক প্রত্যাহার প্রসঙ্গে অভিজিৎবাবুর মন্তব্য প্রসঙ্গে গতকাল থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রথমে কুণাল ঘোষ আর এবার এ বিষয়ে মন্তব্য রাখলেন চন্দ্রিমাদেবী। তিনি বলেন, “বিচারপতিদের মুখে এই ধরনের কথা অতীতে কখনো শুনিনি। দেশে আইন রয়েছে। এইভাবে নির্বাচন কমিশনকে বলে আমাদের দলের প্রতীক বাতিল করা যাবে না।”
পরবর্তীতে তিনি আরো বলেন, “যদি কারোর মনে প্রশ্ন থাকে যে, আমরা আইনের মাধ্যমে চলি না, তাহলে তাদের জেনে রাখা উচিত যে, দেশের প্রতিটি নাগরিককে আইনের মধ্য দিয়েই চলতে হয়। এর মধ্যে বিচারপতিরাও রয়েছেন। আমি অনেকটা সময় হাইকোর্টে ছিলাম। বিচারপতিদের আমি শ্রদ্ধা করি। হয়তো অনেকেই এমন রয়েছেন, যারা এহেন মন্তব্য করার পর ভেবে দেখেন যে, এটা অন্যায় হয়েছে।”
গতকাল নাম না করে অভিজিৎবাবুকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের দলে অনেকেই মুখপাত্র, যার মধ্যে আমি একজন। আমিও বর্তমানে কারোর নাম করে কিন্তু বলছি না। আমি ধরছি অরণ্যদেব গাঙ্গুলি। যদি কেউ আমাদের দল তুলে দেওয়ার কথা বলে, তাহলে আমি কি তাকে রসগোল্লা খাওয়াবো? যা ক্ষমতা আছে করে নিন।”
উল্লেখ্য, গতকাল অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন অভিজিৎবাবু জানান, “এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে যা গোটা ভারতবর্ষে এর আগে কখনো নেওয়া যায়নি। বর্তমানে আমার সন্দেহ হচ্ছে গণতন্ত্র ঠিক হাতে নেই। প্রয়োজন পড়লে গোটা ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেওয়া হবে।”
এরপর বিতর্ক বাড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব, তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী প্রতীক প্রত্যাহার করা হোক। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যাবে, তা অনুচিত।”