বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ (DA) কী আদৌ মিলবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে সরকারি কর্মীদের মনে। সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনে বকেয়া ডিএ অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) অংশ মেটায় নি রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত ৬ মাস সময় চেয়ে ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। যা নিয়ে কার্যত হতাশা, ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। এরই মধ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।
বকেয়া ডিএ ইস্যুতে কী বললেন চন্দ্রিমা? Dearness Allowance
সাংবাদিক বৈঠক থেকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একটা মডিফিকেশন এর আবেদন করা হয়েছে। সেটা সরকার পক্ষ থেকে সরকার কী মনে করছে এবং কেন সময় চাইছে সেটা বলে সেটা করা হয়েছে। এবার সেটা মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট দেখবে, তার উপর শুনানি হবে। এবার কে অবমাননার কেস করবে তাদের যদি অধিকার থাকে নিশ্চই করবে।’
জোর দিয়ে চন্দ্রিমা আরও বলেন, ‘অবমাননা হয়েছে কী না সেটা মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট দেখবে। আমরা কোথাও কোর্টের অবমাননা করি না বলেই এই মডিফিকেশন এর আবেদন করা হয়েছে।’ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা মডিফিকেশন আবেদন নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। রাজ্যের এই আবেদন আদালত অবমাননার সামিল বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মুখ্য আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ডিএ ইস্যুতে রাজ্যের আবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্য সরকারের চরিত্র অনুযায়ী, আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই আবেদন, তা ২৫% বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশের উপরে বা এই মামলায় কোনও প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। ‘
আরও পড়ুন: বিরাট ‘কাণ্ড’ ঘটিয়েও একদিনেই জামিন! কসবা কাণ্ডের মনোজিতের ভয়ঙ্কর কীর্তি প্রকাশ্যে, জানলে থ হবেন
রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম শুক্রবার বলেন, “পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেই যে তা গৃহীত হবে এমন কোনও কথা নেই। সময়কাল পেরিয়ে যাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলার নোটিস দেওয়া হয়েছে অর্থসচিব ও মুখ্যসচিবকে। ডিএ দিতেই হবে।”