১৫ ফেব্রুয়ারির ডেডলাইন! রাজ্যকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বললেন, এটা যদি…

Published on:

Published on:

calcutta high court(88)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চিংড়িঘাটায় মেট্রো (Chingrighata Metro) নিয়ে জট খুলতে এবার কড়াকড়ি হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। একাধিক বৈঠক হলেও কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে এখনও মেলেনি সমাধানসূত্র। এরপরই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, আর কোনও গড়িমসি নয়, চিংড়িঘাটায় মেট্রোর পিলার নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে তাও আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই।

চিংড়িঘাটায় মেট্রো মামলায় RVNL-র দাবিতে সিলমোহর | Calcutta High Court

এদিন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ৩৬৬ মিটার পিলার তৈরির জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে আদালত। তিন রাত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

RVNL-র কর্তাদের হাইকোর্টের নির্দেশ, এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে দিনক্ষণ ঠিক করে নিতে হবে। পাশাপাশি, যান নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যকে আগামী ৬ই জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করে RVNL কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

এদিকে হাইকোর্টের ডেডলাইন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারির আগে যান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্য়েই উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্র্যাফিক ব্লক করা হলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন।’ এই নিয়েই হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভারতবর্ষের মতো দেশ, যেখানে উৎসব লেগেই থাকে, সেখানে উৎসববিহীন কোনও মরশুম কি হবে?

ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাতের দিকে মাত্র তিনদিন এই ‘ট্র্যাফিক ব্লক’ করতে হবে। নাগরিক স্বার্থে ওই কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের। এদিনই শুনানিতে এই মামলাকে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে অগ্রাহ্য বলে দাবি করেন রাজ্যের আইনজীবী। তা শুনে ভর্ৎসনার সুরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ওই কাজ হয়ে গেলে নিউ গড়িয়া থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো ছুটবে। এটা যদি জনস্বার্থ মামলা না হয়, তা হলে কোনটা জনস্বার্থ হবে?‘

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে ৮ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা! বড়দিনে কলকাতার কি হবে? আগাম আবহাওয়ার খবর

উল্লেখ্য, এর আগে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) বলেছিল, তিনদিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করেই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। আরভিএনএলের আইনজীবী বলেছিলেন ন, মাত্র তিন দিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ হয়ে যাবে। মাত্র তিন দিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। এদিন সেই দাবিতেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট।