বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দূষণ ঠেকাতে পনেরো বছরের পুরোনো বাস কী বাতিল হবে? নাকি বাস মালিকদের জন্য কোনো সুরাহা হবে! গত সপ্তাহে ১৫ বছরের পুরোনো বাস বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে সময় চেয়ে নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। আগামী ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। কি সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য? সেই দিকে তাকিয়ে বাস মালিকরা।
দূষণ এড়াতে বাসের মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেছে এমনি কোনও বাস আর কলকাতা (Kolkata) শহর কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না বলে নির্দেশ ছিল।
ট্রাইবুনালের নির্দেশ মত রাজ্য সরকারও পনেরো বছরের পুরনো বাস, লরি, ট্যাক্সি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য। এতেই ঘোর সমস্যায় পড়ছেন বাস মালিকরা। বয়স নয়, স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখে বাস বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বাস মালিকদের সংগঠন।
বাস মালিকদের সংগঠনের দাবি, ছয় বছর হয়ে গেল তাদের বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে দেওয়া হয়নি, হয় তা বৃদ্ধি করতে দেওয়া হোক নয়তো বাতিলের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার বিষয়ে আবেদন জানানো হয় আদালতে। গত বৃহস্পতিবার ফের এই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে পরিবেশ দফতরের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না সেই শুনানিতে। এদিন হাইকোর্টের কাছে ৭ দিন সময় চায় রাজ্য সরকার। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর হয়।
প্রসঙ্গত, কিছু বছর আগে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেছে এমনি কোনও বাস আর কলকাতা (Kolkata) শহর কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ বছরের পুরনো বাস বা বাণিজ্যিক পরিবহণ আর চালানো যায়না। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারও পনেরো বছরের পুরনো বাস, লরি, ট্যাক্সি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আগেই।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু! আজ কোন কোন জেলা ভিজবে? ফের কবে শীতের কামব্যাক? আবহাওয়ার খবর
এদিকে গত কয়েক মাসে পনেরো বছরের গেরোয় পাঁচশোর বেশি বাস বসে গিয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, এভাবে চলতে থাকলে চলতি বছর মার্চের মধ্যে শহরে ১২০০ বাস ও মিনি বাস বসে যেতে চলেছে। ফলে দু’দিকের সাঁড়াশি আক্রমণে শেষমেশ বাস সঙ্কট কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেই নিয়েও বাড়ছে চিন্তা।