‘দ্রুত তালিকা জমা দিন’, রাজ্যে প্রাইভেট টিউশনি করা সরকারি শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে পাঠাল ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

Published on:

Published on:

calcutta high court(34)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার জনস্বার্থ মামলায় আরও কড়াকড়ি। রাজ্যে সরকারি স্কুলের কতজন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত? সেই তালিকা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনির (Private Tuition) রুখতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ।

হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপে ঘুম উড়ল বহু শিক্ষকের | Calcutta High Court

ইতিমধ্যেই আদালত নিয়ম লঙ্ঘনকারী শিক্ষকদের একটি তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি স্কুলের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও চুটিয়ে টিউশনি করছেন অনেকে। বহুদিন থেকেই এই অভিযোগ উঠে আসছে। মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে এই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক এক মামলার শুনানিতে, মামলাকারীর আইনজীবীকে নিয়ম লঙ্ঘনকারী শিক্ষকদের একটি তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় ইতিমধ্যেই এই রকম বেশ কিছু শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোন নির্দিষ্ট দপ্তর এই নিয়মাবলীকে আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে পারে সেই বিষয়ে জানতে চায় হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ৩২ জন ডিআই (জেলা পরিদর্শক) রয়েছেন। তারপরও কেন এরম ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই দপ্তরের নামও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁদেরও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।

Calcutta High Court

পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানিয়েছে, সরকারি স্কুলের যে সমস্ত শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা করেন, তারা আইন লঙ্ঘন করছেন। আদালতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই ৫% DA বাড়ছে বাংলার সরকারি কর্মীদের? কী আপডেট সামনে আসছে, জল্পনা তুঙ্গে

প্রসঙ্গত, স্কুল শিক্ষকদের টিউশন নিয়ে বহুদিন থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছে গৃহ শিক্ষক সংগঠন। তাদের দাবি, আইন অমান্য করে স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেটে টিউশন করলে তাদের পেট চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই সরকারের নিয়ম মেনে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে যাতে কোনো সমস্যার মুখে পড়তে না হয় সেটা দেখা হোক।