বাংলাহান্ট ডেস্ক: ডিসেম্বর মানেই চড়ুইভাতি। ডিসেম্বর পড়তে না পড়তেই চড়ুইভাতির পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছে খাদ্য রসিক বাঙালি। এবার সেই খাদ্য রসিক মানুষদের মুখেই হাসি ফোটালো মুরগি। কথাতেই আছে কারো পৌষমাস তো কারো সর্বনাশ। সে যতই হোক মুরগির সর্বনাশ, মানুষ কি তাতে খাওয়া ছেড়ে দেবে।
তাই মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে মুরগি দিল নিজের প্রাণের বলি দান। চিকেনের স্টলে দাঁড়িয়ে দেখা গেল প্রতি কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। আর তাতে খুশি হয়ে চাহিদার তুলনায় একটু বেশিই চিকেন কিনছেন ক্রেতারা। গোটা বাংলাতেই রবিবার ছুটির সকালে চিকেনের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল।
আরোও পড়ুন : প্রকাশ্যে এল কলকাতা মেট্রো রেলে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, মাধ্যমিক পাশেই করতে পারবেন আবেদন
বর্ধমানে গোটা মুরগি বিকোচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কিলো দরে, কাটা ১২০ থেকে ১৩০। একই ছবি হুগলিতেও। মোটের উপর সব দোকানেই কাটা মুরগির দাম ১৫০ টাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বিগত কয়েকদিন চিকেনের কেজি প্রতি দাম ঘোরাফেরা করছিল ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকার ঘরে। কিছুদিন আগেও যা ছিল আড়াইশো টাকার উপরে।
আরোও পড়ুন : ‘আপনিই আগামীতে…’ দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন জ্যোতিষী
মানিকতলা বাজারে এদিন চিকেন বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। মুরগি বিক্রেতাদের মতে মুরগির চাষ এবার বেশি হওয়ায় জোগান বেড়েছে। তাই মুরগির দাম এতটা নিচে। তবে বিক্রেতাদের মতে ডিসেম্বরের শেষবেলা পর্যন্ত এই দাম থাকলে তো সোনায় সোহাগা। বর্ষশেষ আর বর্ষবরণের মরশুমে তাহলে আমজনতার মনে স্বস্তি থাকবে।
পাশাপাশি অন্যবার এই সময় যেখানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকার ঘরে ঘোরাফেরা করে সেখানেই রবিবার সকালে কলকাতার বাজারগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কিলো দরে। কোলে মার্কেটের পাইকারি বাজারে দামটা ৬৫ টাকার কাছাকাছি। নিম্নচাপের প্রভাবে অকাল বৃষ্টিতেই পেঁয়াজের এই লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধি ক্রেতাদের একটু হলেও চিন্তায় রেখেছে।