রাজীব মুখার্জী, হাওড়া
তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে।আজ সাকলে ঘটনাটি ঘটে হাওড়া আন্দুল রোডের ওই স্কুলের সামনে। স্কুলের গেট ঘেরাও করে বিক্ষোভ অভিবাবকদের। অবরোধ করা হয় রাস্তাও। পরে সকরাইল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার আর পাঁচটা দিনের মতোই স্কুলে আসে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সোহম মাইতি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই সোহম নামে ওই ছাত্র অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের এই ঘটনা জানায় নি। স্কুল ছুটির সময় তারা ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে বাড়ি নিতে এলে জানানো হয় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোহমকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও স্কুলের সাফাই অভিভাবকদের ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তারা পান নি। এদিকে ওই হাসপাতালে ক্রমশ ছাত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তারপর পরিবারের তরফে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। কিন্তু শনিবার সেখানে মৃত্যু হয় সোহম মাইতি নামে ওই স্কুল ছাত্রের।
এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে। ফলে তাদের পক্ষে চিকিৎসার সুযোগ মিলেছে খুব কম। এরই প্রতিবাদে আজ স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন অভিভাবকেরা। অবরোধ করা হয় আন্দুল রোডও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে সকরাইল থানার পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন আধিকারিকরা। পরে এই আশ্বাসে ওঠে আন্দুল রোডের অবরোধ।
অন্যদিকে, ছাত্রের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে এনসেফলাইটিস রোগের নাম। মশা বাহিত এই রোগের প্রকোপে রাজ্যে এবছর মৃত্যু এই প্রথম। বর্ষার মাঝেই এই রোগের কামড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও।