লকডাউনের ফলে হঠাৎ করেই প্রায় বন্ধ হয়ে যায় অর্থনীতির চাকা। যার জেরে ভীষণই সমস্যায় পড়েছিলেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। এর পরোক্ষ ফল পড়েছে শিশুদের ওপরও। একটা বিশাল সংখ্যক শিশু বিশেষ করে যাদের পারিবারিক আয় অত্যন্ত সীমিত পড়াশোনা ছেড়ে শিশু শ্রমিকের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। শিশুদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দেওয়া তথ্যে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই শিশুদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস এবং আর্থিক সহায়তার অভাবে অনলাইন ক্লাস বিকল্প শিক্ষার মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে নি। পরিবারের সহায়তার জন্য, এখানে বস্তি এবং আশেপাশের অঞ্চলে বাস করা বেশিরভাগ শিশু এখন কাজে যোগ দিয়েছে।
ইউনিসেফ ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (ILO) ১২ ই জুন প্রকাশিত একটি যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে যে ২০০০ সালের পর থেকে শিশুশ্রম ৯৪ মিলিয়ন কমেছে, কিন্তু চাকরির ক্ষতি এবং দারিদ্র্যের কারণে শিশুরা বাধ্য হতে পারে পরিবারগুলি কিছু অর্থ উপার্জন এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি উপলভ্য উপায় ব্যবহার করে শোষণমূলক এবং বিপজ্জনক চাকরির সন্ধান করতে।
দিল্লি-ভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘চেতনা’ দাবি করেছে যে, দিল্লির পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব জেলাগুলিতে তাদের যোগাযোগ করা, ৫৮৬ জন শিশুর মধ্যে কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩২৫ শিশু কাজে নিযুক্ত হয়েছে। এবং তার প্রধান কারন মহামারির কারনে স্কুলের বন্ধ হয়ে যাওয়া। বর্জ্য বাছাই, গার্হস্থ্য কাজ, শাক-সবজি, ফলমূল বা পিতামাতার সাথে অন্যান্য জিনিস বিক্রয় করা বা পোশাক তৈরির মতো কাজ করছে। যার ফলে তাদের শৈশব অকালে ঝরে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি মজবুত হলেও এই স্কুলছুটরা কি আদৌ শিক্ষার জগতে ফিরে আসতে পারবে? তা সত্যি উদ্বেগের বিষয়