বাংলা হান্ট ডেস্ক: বারাসাত (Barasat) জুড়ে ছড়াচ্ছে ছেলে ধরার (Child Thefting) গুজব (Rumour)। ছেলে ধরা সন্দেহে ইতিমধ্যে গণপিটুনি দিয়ে দিয়েছেন আমজনতা। পুলিশের কাছে অভিযোগ যেতে ইতিমধ্যেই এই গণপিটুনির ঘটনায় মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ধৃতদের আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আদালতের তোলা হবে।
জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত বিগত কয়েকদিন ধরেই বারাসাত সংলগ্ন এলাকায় গুজব রটেছে ছেলে ধরার। ঘটনার সূত্রপাত হয় কাজী পাড়া এলাকায় এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। যা নিয়ে সমাজমাধ্যমেও শুরু হয় ব্যাপক চর্চা। চারপাশের গুজব আর সমাজ মাধ্যমের অপপ্রচারের জেরে ইতিমধ্যেই বারাসাত সংলগ্ন এলাকায় দুটি পৃথক ঘটনায় গণপিটুনির মুখে পড়েছেন এক ব্যক্তি এবং এক মহিলা সহ তার সঙ্গী।
যদিও পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ওই বালকের মৃত্যু সঙ্গে শিশুচুরি বা ছেলেধরার কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও থামেনি গুজব। এই গুজবে কান দিয়েই বুধবার বারাসতের দুই এলাকায় দু’টি পৃথক ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে বারাসাতের মোল্লাপাড়ায় এক ব্যক্তিকে শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই ছেলেধরা ভেবে গণপিটুনি দিতে শুরু আমজনতা।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ ঘুরতে যাচ্ছেন? এখনই দেখে নিন শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে NJP যাওয়ার একাধিক ট্রেনের নতুন টাইম-টেবিল
এছাড়াও মডার্ন স্কুলের সামনে এক মহিলা এবং তাঁর সঙ্গীকেও একই ভাবে ছেলেধরা ভেবে ব্যাপক মারধর করা হয়। অভিযোগ, সামনে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও ওই দু’জনকে টেনে হিঁচড়ে মারধরও করে জনতা। এই গণপিটুনীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে ,আক্রান্ত তিন জনই এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত ছেলেধরার গুজব রটানো বন্ধ করতেই বারাসতের পুলিশ সুপার বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, বারাসতে নাকি আদৌ কোনও শিশুচুরির ঘটনা ঘটেনি। তবে যে বালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই গুজব রটেছিল তাকে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।