বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিটি দেশ শত্রুপক্ষের হাত থেকে নিজেদের রক্ষার্থে ক্রমশ সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। এমতাবস্থায়, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির প্রসঙ্গে জানাতে হয় যে, চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মত দেশগুলি ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর সব ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত রয়েছে। এদিকে এবার, সারা বিশ্বের প্রাণঘাতী অস্ত্রের তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট NTI.ORG-এর সূত্রে চিন ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি কোথায় কোথায় রয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা গিয়েছে।
চিন: বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকার সঙ্গেও সমানে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখা চিনের প্রভাব গোটা এশিয়া মহাদেশে ক্রমশ স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, NTI-এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চিনের মোট ৪ টি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে ২ টি রয়েছে সক্রিয়, একটি অপারেশনাল পর্যায়ে রয়েছে এবং একটির নির্মাণ কাজ চলছে। এই চারটি ঘাঁটিতেই ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। সেগুলির নাম হল জিউকুয়ান স্পেস লঞ্চ সেন্টার, তাইয়ুআন স্পেস লঞ্চ সেন্টার, জিচাং স্পেস লঞ্চ সেন্টার এবং হাইনান স্পেস লঞ্চ সেন্টার।
উত্তর কোরিয়া: এদিকে, উত্তর কোরিয়ার কাছেও প্রাণঘাতী অস্ত্রের পুরো ভান্ডার রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সেখানকার নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসক কিম জং-এর মিসাইল প্রেমের কথা সকলেই জানেন। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিটি কমদক-সানে অবস্থিত। এটি উত্তর হামগিয়ং-এর হাওয়াদে-কুন-এর মাউন্ট কোমডক-এ অবস্থিত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাকিস্তান: বর্তমান সময়ে ভারতের জন্য সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হল পাকিস্তান। কারণ ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান ভারতের উদ্দেশ্যে হামলা করে বারংবার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই প্রসঙ্গে NIT সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবের সারগোধায় পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি রয়েছে। এছাড়াও, সেখানে ২ টি রানওয়ে, বিমানের জন্য বিস্তীর্ণ এলাকা এবং অস্ত্র সংরক্ষণের এলাকাও রয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে।
ইজরায়েল: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইজরায়েল তার সামরিক সক্ষমতা এবং উন্নত প্রযুক্তির জন্য সারা বিশ্বেই সমধিক পরিচিত। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি রামাত হাশারনে অবস্থিত। সেখানে প্রায় ৩,২০০ জন কর্মচারী নিযুক্ত রয়েছেন।