বাংলা হান্ট ডেস্ক: একের পর এক মসজিদ (Mosque) বন্ধ করে দিচ্ছে চীন (China)! মসজিদের রূপই পাল্টে দেওয়া হচ্ছে, নয়তো পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে! এমনটাই অভিযোগ আসছে সামনে।
চীনের যেই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মুসলমান (Muslim) সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে সেটি হল উত্তরাঞ্চলীয় নিংজিয়া এবং গানসু। সেই অঞ্চলেরই শত শত মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩০০ মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch) বলছে, সংখ্যালঘুদের চীনাকরণ করার অংশ হিসেবে এই মসজিদগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে চীনের সরকার। ওই সংস্থার এক গবেষক জানিয়েছেন, চীন সরকার স্বায়ত্তশাসিত নিংজিয়া অঞ্চল এবং গানসু প্রদেশে মসজিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধ স্কুল, জারি অ্যালার্ট! চীনে নতুন মহামারী, শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভয়ঙ্কর রোগ
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি অনেকদিন ধরেই চীনের ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করছে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনাকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চীন সরকার ইসলাম ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে সেগুলি ধ্বংস এবং কর্ম নির্মাণের নীতি মেনে চলার নির্দেশ জারি করে।
স্যাটেলাইট ছবি (Satellite) পরীক্ষা করে এইচআরডব্লিউ-এর গবেষকরা জানান, নিংজিয়ার দুটি গ্রামে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাতটি মসজিদের মিনার এবং গম্বুজ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও চারটি মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদের তিনটি প্রধান ভবন ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটি অজু করার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, জিনজিয়াঙের ১৬ হাজার মসজিদের প্রায় ৬৫ শতাংশই কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।