করোনা ভাইরাসের দরুন দুর্বল হচ্ছে চীনের অর্থনীতি, কমলো সৌদি-রাশিয়া থেকে তেলের আমদানি

সৌদি আরব এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তির দরুন বিগত তিন বছর ধরে তেলের দাম বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে করোনাভাইরাসে জর্জরিত চীনের তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিশ্বের এই দুটি বড় তেল প্রস্তুতকারী দেশ পড়েছে চাপে। সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী, আব্দুল আজিজ বিন সালমান জানিয়েছেন যে তিনি যত শীঘ্রই সম্ভব এই বিপুল পরিমাণ তেলের উৎপাদন হ্রাস করতে ইচ্ছুক। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে মতবিরোধের ফলে এই কার্য সম্ভবপর হওয়া কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আব্দুল আজিজ বিন সালমান এর পিতা কিং সালমান সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন।

07oil 2 jumbo

তিন দিনের দীর্ঘ বৈঠকের পরে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলো এই সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা তেলের উৎপাদন ৬ লক্ষ ব্যারেল অবধি কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সৌদি আরবের মতে তেল উৎপাদন এতটা কমানোর কোন প্রয়োজন ছিল না। তাই এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী মতবিরোধের জন্য বিশ্বের তেল রপ্তানিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের থেকে জানানো হচ্ছে।

ওপেক (OPEC) এর প্রধান রাষ্ট্র সৌদি আরব এবং রাশিয়ার মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় বিশ্বের তেল রপ্তানি নীতি তৈরি করতে এখনো বেশ কিছুটা দেরি হবে বলে জানা যাচ্ছে। আদৌ এই দুটি দেশ একসাথে কাজ করবে কিনা তাও এখনো ঠিক করে বলা যাচ্ছে না।

আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটর্সের গ্লোবাল কমোডিটি স্ট্রাটেজির প্রধান মিস হেলিমা ক্রফট জানিয়েছেন,” বর্তমানে প্রধান প্রশ্নটি হল আরব এবং রাশিয়া কি আদৌ একই অবস্থানে রয়েছে বিশ্বের তেল রপ্তানি নীতি নিয়ে নাকি না?” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন রাশিয়ার এই তেল উৎপাদন এতটা না কমালেও চলত। তবুও এই তেলের উৎপাদন কম হলে বিশ্বে তেলের দামে কিছুটা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে, কারণ বলাই বাহুল্য, চীনে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে ইতিমধ্যেই ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক শুক্রবার দাম দেখিয়েছে ব্যারেল পিছু ৫৫ মার্কিন ডলার যেখানে গত জানুয়ারি মাসে এই দাম ছিল ব্যারেল পিছু ৭০ মার্কিন ডলার।


সম্পর্কিত খবর