বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সমগ্র বিশ্ব এখন চীনের (China) বিরুদ্ধে। চীনের আগ্রাসন মনোভাব এবং তাদের চালবাজি মনোভাবের কারণে গোটা বিশ্বই তাদের সঙ্গে কোনরকম সম্পর্ক রাখতে নারাজ। তবে সম্প্রতি তিব্বতে চীনা সেনাদের যুদ্ধাভ্যাসের একটি ভিডিও প্রকাশ করে ভারতকে সতর্ক বার্তা দিতে চেয়েছে চীনা সরকার এবং চীনা সংবাদ মাধ্যম।
ভিডিওতে দেখা যায়, চীনা সেনারা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাদের আধুনিক মানের Z10 যুদ্ধ হেলিকপ্টারের সাথে যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে। ভারতীয় সেনা ভারত সরকারকে একটি হুঁশিয়ারি করেই প্রধানত চাইনিজ সেনাদের এই ভিডি শুট করা হয়েছে।
চীনের অন্যান্য জিনিসের ন্যায় এই যুদ্ধ হেলিকপ্টার দর্শন ধারী হলেও, এর গুণমান অত্যন্ত খারাপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে যখন এই হেলিকপ্টারকে হামলার জন্য প্রস্তুত করা হয়, তখন এই হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন কপ্টারকে সাপোর্ট করার অবস্থায় থাকে না। তিব্বত অত্যাধিক উঁচু হওয়ার কারণে, এই যুদ্ধ হেলিকপ্টার আর দুর্বল হয়ে পড়ে।
চীনের এই একাধারে দর্শন ধারী এবং নির্গুণ হেলিকপ্টারকে বন্ধুদেশ পাকিস্তানও বাতিল করে দিয়েছিল ২০১৭ সালে। তখন পাকিস্তান তুর্কির T129 হেলিকপ্টার পছন্দ করে, আরও ৩০ টি এই ধরনের অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।
চীনের এই Z10 যুদ্ধ হেলিকপ্টার তিব্বতের উচ্চতায় যুদ্ধ করতে কতটা ব্যর্থ, তাঁর প্রমান আবার এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। এই Z10 যুদ্ধ হেলিকপ্টারে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিশাইল দেখাই যাচ্ছে না। যা কোন রকম অ্যাটাক হেলিকপ্টারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। তবে এই ভিডিওতে সমস্ত তথ্য ম্যান্ডারিন ভাষায় দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ চীনাবাসিন্দাদের খুশি করার জন্যই এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
চীনকে ব্যাঙ্গার্থে পেপার ড্রাগন বলা হয়ে। কারণ চাইনিজ সেনারা শুধুমাত্র চীনের সংবাদ মাধ্যমেই তাদের হুংকার দেখাতে পারে। কিন্তু এই সেনারা তাদের যে পলকা Z10 যুদ্ধ হেলিকপ্টারকে কাজে লাগিয়ে ভারতে ভয় দেখাতে চাইছে, তা পাকিস্তানের মত দেশও নিতে নারাজ। এই যুদ্ধ হেলিকপ্টারের অক্ষমতা পাকিস্তানের মত দেশও বুঝতে পেরে গেছে।