বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে শুধু ভারত, আমেরিকা ও তাইওয়ানেরই বিরোধ নেই। ফিলিপিন্সের (Philipines) সঙ্গেও বিরোধ রয়েছে ড্রাগনের দেশের। যা ক্রমশ আরও গভীর হচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) একটি ফিলিপিন্সের কোস্ট গার্ডের জাহাজে দু’বার আক্রমণ করল একটি চিনের কোস্ট গার্ডের জাহাজ। ফিলিপিন্সের উপর সামরিক গ্রেডের লেজার আলো (Military grade laser light) প্রয়োগ করল তারা। এর ফলে ক্ষণিকের জন্য অন্ধ হয়ে যান ফিলিপিন্সের জাহাজে থাকা কিছু সেনা।
ফিলিপিন্সের তরফে চিনের এই কাজকে ম্যানিলার (Manila) সার্বভৌম অধিকারের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়েছে। সোমবার এই তথ্য দিয়েছে ফিলিপিন্স। তারা জানিয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় থমাস শোলের কাছে টহল দিচ্ছিল ফিলিপিন্স কোস্ট গার্ড। তখনই তাদের জাহাজ বিআরপি মালাপাস্কুয়ার ১৫০ গজের মধ্যে চলে আসে চিনের একটি জাহাজ।
ফিলিপিন কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র কমোডর আরমান্দ বালিলো জানিয়েছেন, আগেও বিতর্কিত জলসীমা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করেছে চিন। ফিলিপিন কোস্ট গার্ডের জাহাজের কাছাকাছি এর আগেও এসেছে চিনের কোস্ট গার্ডের জাহাজ। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সামরিক গ্ররেডের লেজার আলো ব্যবহার এই প্রথম করল জিনপিংয়ের দেশ। একইসঙ্গে ফিলিপিন কোস্ট গার্ডের সদস্যদের মারধোরও করেছে চিন।
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিপিন্স। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, এই ঘটনার পর কোনও মন্তব্য করেনি ম্যানিলার চিনা দূতাবাস। উল্লেখ্য, চিনের বিরুদ্ধে এর আগেও প্রতিবাদে সরব হয়েছে ফিলিপিন্স। দক্ষিণ চিন সাগরের ওই বিতর্কিত অংশে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। শুধু ২০২২ সালেই প্রায় ২০০ বার প্রতিবাদ করেছে ফিলিপিন্স।
প্রসঙ্গত, এর আগেও আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশের নজরদারি বিমানের উপর লেজার হামলা করেছে চিন। জানা গিয়েছে, ফিলিপিন্সের উপর এই হামলার ঘটনাটি গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছে। ঘটনাস্থল ছিল স্প্র্যাটলি দ্বীপের কাছে। চিন এই দ্বীপপুঞ্জকে নানশা দ্বীপপুঞ্জ বলে। চিনের দাবি, গোটা দক্ষিণ চিন সাগরের উপরই তাদের অধিকার রয়েছে। এই গোটা সমুদ্রটি ১৩ লক্ষ বর্গমাইল জুড়ে রয়েছে। এর ফলে চিনের সঙ্গে ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ানের বিরোধ রয়েছে।