বাংলা হান্ট ডেস্ক : চিন-তাইওয়ান সংকট মাঝেমধ্যেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। গত এক বছরে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia – Ukraine War) পরিস্থিতিতে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে নানা জটিলতা দেখা গিয়েছে বারবার। এর মধ্যে চলতি বছরের শেষ মুহুর্তে তাইওয়ানকে ঘিরে আবার সামরিক আগ্রাসন শুরু করল চিন। জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের দিকে ৭১টি যুদ্ধজাহাজ ও ৭টি জাহাজ পাঠিয়েছে জিনপিং (She Xinping)-এর সরকার।
সম্প্রতি সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে তাইওয়ানের জন্য আলাদা করে অর্থবরাদ্দের কথাও তখন ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি চিন। চিনা সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানকে নিয়ে আমেরিকার পদক্ষেপ ভালো ভাবে নিচ্ছে না চিন। আর সেই বক্তব্যের পরই তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে এবং সামরিক মহড়া চালানোর কথা ঘোষণা করে জিনপিং-র দেশ।
তাইওয়ান অখণ্ড চিনের অংশ, এমনই মনে করে বেজিং। আবার আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও তাইওয়ানকে স্বতন্ত্র দেশের মর্যাদাই দিয়ে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের সামরিক বাজেটে তাইওয়ানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্তকে চিনের সার্বভৌমত্বের চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে চিন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে আমেরিকার এই আচরণকে অনৈতিক বলে মনে করছে বেজিং।
গত অগস্ট মাসে আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক। সেই সময়েও এক মাসের বেশি সময় ধরে তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া চালিয়ে যায় চিন। ন্যন্সি পেলোসির সফর ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।