করোনা ভাইরাসের কারণে চিন সহ পুরো দুনিয়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যে বুহান শহর থেকে এই মারন ভাইরাসটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই শহরটির কাজকর্ম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়েছে। মানুষজন নিজেদের তাদের ঘরে বন্দি করে রেখেছেন। এছাড়াও এই ভাইরাসে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০ জনের ওপর মানুষের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। চীনের পরিসংখ্যান বলছে এখনো অব্দি এই ভাইরাসে এখনো অবধি প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
যদি চীন সরকার চায়, তাহলে এই ভাইরাসকে ছড়িয়ে পড়া থেকে বাধা দিতে পারে। কিন্তু চীনের রাজনৈতিক দলগুলি এমন ভাবে কাজ করে যাতে সময় থাকতে থাকতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে জনগণের মধ্যে সঞ্চারিত হতে পারে না। তাই কোনো ভয়ঙ্কর ভাইরাস মহামারীর রূপ ধারণ করতে বেশি সময় নেয় না। চিনের সরকারের এখন প্রয়োজন যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মহামারীকে আটকানো যায়। বিগত ডিসেম্বর মাস থেকে এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যদি চীন সরকার চাইতো তাহলে এই মহামারীকে আটকানো যেত।
এছাড়াও বুহান শহরের মেয়র একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এই ভাইরাসের খবর সর্বসমক্ষে নিয়ে আসা হয়নি কারণ পার্টি এবং সরকারের নিয়ম তাকে এরকম করতে বাধা দিয়েছিল। এবং এই কারণে বুহান শহরের মানুষের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও এই রাজনৈতিক তন্ত্র ওই ডাক্তারকেও শাস্তি দিয়ে তার মৃত্যু নিয়ে এসেছিল যে প্রথমবার ওই ভাইরাসকে সর্বসমক্ষে নিয়ে এসেছিলেন। কিছুদিন আগে চীন পুলিশ ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে তাকে হেফাজতে রেখেছিল এবং সম্প্রতি কিছুদিন আগে করোনা ভাইরাসেই তার মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ চীনের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে এই পুরো মামলার তদন্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।