বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের এক অদ্ভুত অস্ত্রের খোঁজ পেয়েছে বেজিং (Beijing)। চিনের কমিউনিস্ট পার্টি (Communist Party of China) এবং চিনা সামরিক বাহিনী হাতে এখন এসেছে নতুন ধরনের এক মারাত্মক জৈবিক অস্ত্র। গোপন সূত্রে খবর এই অস্ত্র গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক ল হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা যাচ্ছে, চিনের লালফৌজ এখন কিছু নিউরোস্ট্রাইক অস্ত্র তৈরি করেছে। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন ধরনের এই অস্ত্র সরাসরি মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এগুলোর সাহায্যে শুধু স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মস্তিস্কেই আক্রমণ করা যায় না, তাদের মস্তিষ্ককে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও করা যায় বলে জানা যাচ্ছে।
কী এই নিউরোস্ট্রাইক অস্ত্র? তারা কতটাই বিপজ্জনক মানুষের জন্য? এই অস্ত্র কি আগে কখনও ব্যবহার করা হয়েছে? মস্তিষ্কের উপর আক্রমণ করে এসব অস্ত্র দিয়ে কী সুবিধা পাওয়া যায়? এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরে চিনের শত্রু রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষা বিভাগে। এই অস্ত্রের মোকাবিলা করতে যেকোনও দেশই হিমশিম খাবে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
নিউরোস্ট্রাইক অস্ত্র হল এমন ধরনের অস্ত্র যা সরাসরি মানুষের স্নায়ুতে আক্রমণ করে। এগুলি এমন অস্ত্র যা বিশেষভাবে যুদ্ধরত সৈন্যদের চিন্তন শক্তিকে আক্রমণ করতে বা দরকার পরলে সাধারণ মানুষের মনকেও আক্রমণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সরাসরি কোনো বস্তুর আক্রমণ নয় বরং একটি শক্তির আক্রমণ। মাইক্রোওয়েভ বা শক্তির মাধ্যমে মনকে নিয়ন্ত্রণ করতেও এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্রে খবর, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে নিশানা করার জন্য এই নিউরোস্ট্রাইক অস্ত্রগুলি প্রস্তুত করেছে। এসব অস্ত্রের মাধ্যমে চিন প্রথাগত যুদ্ধ পদ্ধতির বিপরীতে অপ্রচলিত সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রপতি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ জৈব-অস্ত্র উদ্যোগের আওতায় চিনা সামরিক বাহিনী এই মারাত্মক অস্ত্র তৈরি করছে।
বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার শক্তি কমলেও চিনের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে তাইওয়ান বা দক্ষিণ চওন সাগরে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া চিনের জন্য খুবই কঠিন। বিশেষ করে প্রচলিত যুদ্ধ হলে চিনকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের হামলার জন্য এই অস্ত্রগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
যদি বাস্তবে এই অস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হয়, তবে চিন শুধুমাত্র তাইওয়ানকে দখল করতেই সক্ষম হবে না, বরং এর মোকাবিলা করার জন্য আমেরিকার কূটনৈতিক চালও দুর্বল হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এই সমগ্র অঞ্চলে এই অস্ত্রের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের জন্যও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে চিন।