বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চিনা ইন্টারনেট মেগাকনস্টেলেশন তার প্রথম উৎক্ষেপণের পরপরই মহাকাশে বিধ্বস্ত হয়। গত মঙ্গলবার, চিনা লং মার্চ 6A রকেট (China Rocket) ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের জন্য ১৮ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। যেটি ১৪,০০০ মহাকাশযান হোস্ট করতে সক্ষম ছিল। রকেটটি সফলভাবে স্যাটেলাইটগুলিকে ৮০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দিলেও কিছুক্ষণ পর একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে এবং এর ওপরের অংশ ভেঙে যায়।
মহাকাশে ভেঙে গেল চিনা রকেট (China Rocket):
এরপরে, ওই বিস্ফোরণ থেকে নির্গত ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি মেঘ তৈরি হয়েছিল। সেই মেঘ এখন পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে, ইউএস স্পেস কমান্ড জানিয়েছে যে চিনের লং মার্চ 6A রকেট (China Rocket) সফলভাবে ১৮ টি কিয়ানফান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। কিন্তু এরপরে সেটি পৃথিবীর কক্ষপথে একাধিক টুকরো হয়ে ভেঙে যায়। ওই ১৮ টি স্যাটেলাইট কিয়ানফান ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত। তাইওয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে এই স্যাটেলাইটগুলি উৎক্ষেপণ করা হয়ে। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই রকেটটিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং একাধিক ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।
পৃথিবীর চারপাশে ধ্বংসাবশেষ: বর্তমানে এই রকেটের (China Rocket) ধ্বংসাবশেষের ওপরে একটি মেঘ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, ওই ধ্বংসাবশেষকে পৃথিবীর চারপাশে ট্র্যাকও করা যেতে পারে। US Spacecom বলেছে যে এই ঘটনা থেকে বর্তমানে কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই। তবে, মহাকাশ সেক্টরে নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এমন ঘটনা এবারেই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার এমন হয়েছে। রকেটে বিস্ফোরণের ফলে ওই ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে ঘুরতে থাকে। কিন্তু রকেটে পৃথিবীতে বিস্ফোরণ হলে তা মানুষের বসতি থেকে দূরে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: চিনের প্রতি মোহভঙ্গ! এবার মলদ্বীপেও শুরু হবে এই পরিষেবা, সম্পন্ন হল মৌ স্বাক্ষর
পৃথিবীতে ধ্বংসাবশেষ জমা করা হয়: জানিয়ে রাখি যে, স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ রাখার জন্য বিশেষ জায়গা তৈরি করা হয়েছে। একে বলা হয় “পয়েন্ট নিমো”। এই স্থান মানব বসতি থেকে বেশ দূরে। মানুষের পক্ষে এই জায়গায় পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। একে সমুদ্রের কেন্দ্রও বলা হয়। “নিমো” একটি ল্যাটিন শব্দ। এর অর্থ হল, “যেখানে কেউ থাকে না।”
আরও পড়ুন: হাঁ করে তাকিয়ে দেখল চিন! বিরাট নজির গড়ল Jio, গোটা দেশ করছে ধন্য ধন্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই স্থানটি দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একটি অংশে অবস্থিত। যেকোনও দ্বীপ এই স্থান থেকে প্রায় ২,৬৮৮ কিলোমিটার দূরে। এই স্থানটিকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্জন স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে সেখানে শতাধিক স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ রাখা হয়েছে।